শ্যামপুরে বনমহোৎসবের সূচনায় পুলক রায়, করলেন বৃক্ষরোপণ

কল্যাণ অধিকারী

সবুজ বাঁচাতে এবং পরিবেশকে সুস্থ রাখতে বৃহস্পতিবার শ্যামপুরে শুরু হল বনমহোৎসব। অনুষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ ছাড়াও সাধারণ মানুষদের পরিবেশ রক্ষায় গাছ বাঁচানোর বার্তা দিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়। কেন গাছ লাগানো জরুরি তা নিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি।  

বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বলেছেন গাছের প্রাণ আছে। অর্থাৎ আমাদের যেমন প্রাণ আছে, গাছেদেরও প্রাণ আছে। তাদেরকে রক্ষা করতে হবে। এরপর তিনি বলেন, হাওড়া জেলা পরিষদকে ধন্যবাদ জানাব, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হচ্ছে সেই উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বন দপ্তরের উদ্যোগে এই জেলায় প্রকৃতির রক্ষায় একাধিক কাজকর্ম করছেন। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় যেগুলো দরকার তা যেন ওঁরা করে। গাছ বসাতে পঞ্চায়েত সদস্য থেকে প্রধান যাকে প্রয়োজন ডাকুন গাছ বসানো ও রক্ষা করা প্রত্যেকের দায়িত্ব। বাড়ি থেকে বেরলেই যেন চোখে পড়ে আম, কাঁঠাল, সবেদা, জাম, পেয়ারা, সুপারি-সহ সবুজের আস্তরণ।”  

বনমহোৎসব উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, আসুন সকলে মিলে রাজ্যের জীববৈচিত্রকে রক্ষা করি। সবুজের অভিযানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাই। শুক্রবার থেকে শুরু হবে জেলায় জেলায় বনমহোৎসব পালন ও বৃক্ষরোপণ চলবে ২০ জুলাই অবধি। তাঁর মন্ত্রীসভার পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই বৃক্ষ রক্ষায় একাধিক পদক্ষেপ নিলেন। এর পাশাপাশি নতুন নতুন এলাকায় বনসৃজন করা হচ্ছে এমনটাও জানালেন তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে একটা গাছ বসান সেটাকেই রক্ষা করুন। উল্লেখ্য হাওড়ার শ্যামপুরে নারেগা প্রকল্পে প্রায় একশো বর্গ মিটার জায়গা জুড়ে কৃত্রিম উপায়ে জঙ্গল তৈরি করা হচ্ছে। জাপানি মিয়াওয়াকি পদ্ধতিতে জঙ্গল তৈরির কাজ চলছে।

এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন হাওড়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য। ছিলেন বন দফতরের একাধিক আধিকারিক। ছিলেন শ্যামপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *