সত্তরের দোরগোড়ায় সাধ মিটল ধর্মতলায়, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে বাড়ির পথে ইন্দু
কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ
ঘড়ির কাটায় দুপুর গড়িয়ে তখন বিকেল। হাওড়া ব্রিজ ধরে হেঁটে স্টেশনে ট্রেন ধরতে ফিরছেন এক দল মহিলা। সঙ্গে রয়েছেন কয়েকজন পুরুষ। ওই দলে সত্তর বছর বয়স্কা ইন্দু মুর্মু। বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলায়। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি থেকে কয়েক কিমি দূরে। সম্প্রতি চোখের ছানি অপারেশন হয়েছে। কালো চশমা পরেই এসেছিলেন ধর্মতলায়। সামনে থেকে দেখার ইচ্ছেটা মিটেছে। চোখেমুখে অনেকটাই স্বস্তি।
একুশে শহিদ দিবসে মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখবেন বলে সেই সকাল থেকে ঠায় বসেছিলেন মঞ্চের সামনের দিকে। বক্তব্যের সমস্তটা শুনেছেন। বৃষ্টির মাঝেও ধৈর্যচ্যুতি ঘটেনি। মঞ্চে দিদি যখন ১০০ দিনের টাকা না পেলে দিল্লি ঘেরাও হবে বলছেন মন থেকে অনেকটা খুশি হয়েছেন ইন্দু। বাড়ির দুই ছেলে ১০০ দিনের কাজ করে। বাকি সময় অন্যর জমিতে কাজ করে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। ইন্দু না জানলেও মুখ্যমন্ত্রী বুঝেছেন। ১০০ দিনের বকেয়া টাকা শ্রমিকদের না দিতে পারলে ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে। ইন্দুর কথায়, “কয়েকবছর আগে বেলপাহাড়ি স্কুল মাঠে সভায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শরীর ভাল ছিল না তাই যাওয়া হয়নি। পাড়া প্রতিবেশীরা আসছে শুনে এই বয়সেই চলে এসেছি। শেষ ইচ্ছেটা পূর্ণ হল।”

হাওড়া স্টেশনের জেটি ঘাটের দিকে মেডিক্যাল ক্যাম্প বসেছে। ওখানেই অন্য একটি ক্যাম্পে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় সহ একাধিক বিধায়ক দায়িত্বে রয়েছেন। হাওড়া স্টেশন হয়ে হাজার-হাজার কর্মী-সমর্থক বাড়ি ফিরবেন। কোনপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার-ই নজরদারিতে রয়েছেন। জঙ্গলমহলের মানুষজনদের প্রতি সুনজর তাঁর। কখনো হাত নেড়ে কখনো আবার ছবির আবদার মিটিয়েছেন। গ্রামীণ হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি থাকাকালিন একুশের আগের দিন থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন সুকান্ত পাল। বিধায়ক হয়েও সেই দায়িত্বে অবিচল। পুলক রায়ের কয়েকটি আসন দূরে বসে জেলার দায়িত্ব সেরেছেন।