৬০০ দিনের ধর্নার পরেও লড়াই চলবে চাকরি পেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ভাবী শিক্ষকরা
কল্যাণ অধিকারী ও ব্যুরো রিপোর্ট
৬০০ দিন ধর্নায় এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। চলবে হয়তো আরও অনেকদিন। রোদ-বৃষ্টি এমনকি কনকনে শীত নাছোড় আন্দোলনের কাছে সবই পরাস্ত হয়েছে। জেদের থেকে ওঁদের কাছে বড় পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি ঠেকাতেই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া। নিজেদের প্রাপ্য চাকরি সরকারের থেকে লড়াই করে নিজেদের দখলে নেওয়া।
এর আগে সিঙ্গুর আন্দোলন সহ একাধিক আন্দোলন দেখেছে দেশ। দিনের পর দিন পথে বসে থেকে ধর্না চালিয়ে যাওয়া ও ফলের জুস খেয়ে ধর্নার অবসান। আর এবার রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ দেখছে কলকাতা শহরের বুকে ৬০০ দিনের আন্দোলন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এতদিনে শিক্ষকতার বেশ কয়েকটি বছর পার করে দিত ওঁরা। কিন্তু কোথায় কি! ওঁদের চাকরি কেড়ে নিয়েছে মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর মতন সুযোগের অপব্যবহার করা কয়েকশো যুবক-যুবতি। সেইসবের অনেকটা পর্ব পার করেছে ভাবী শিক্ষকরা। চাকরির দোরগোড়ায় এখন তাঁরা! আর তা সম্ভব হয়েছে জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া পদক্ষেপে।
তবে এই ধর্না মঞ্চে রাজনৈতিক যোগ সামনে এসেছে। যদিও আন্দোলনকারীরা তা মানতে চায়নি। বিজয়া দশমীতে প্ল্যাকার্ড হাতে চাকরির দাবিতে মাংস বিক্রেতা বিজেপি কর্মী বসে পড়েছিল ধর্না মঞ্চে। তা সামনে আসতেই শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। তারপর অনেকটাই সচেতন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। ৬০০ দিনে পড়েছে তাঁদের ধর্না। তবে ধর্নাকে ধর্না না বলে কবে মিলবে যন্ত্রণার অবসান সেটাই দেখছেন ওঁরা। লাগুক আরও ৬০০ দিন এই যন্ত্রণার শেষ দেখেই তবে ছাড়বে ওঁরা।