ভেন্টিলেশনে ‘অসাড়’ ঐন্দ্রিলা
কল্যাণ অধিকারী
ঐন্দ্রিলাকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক টিম। প্রতিটি মুহুর্ত উৎকন্ঠায় কাটাচ্ছেন পরিবার, বন্ধু-স্বজন, সতীর্থরা। এমন একটি কঠিন সময়ে তাঁর ‘মৃত্যু’ রটিয়ে RIP আদায়ে নেমেছেন কিছু ‘দু’পায়ে মা-নু-ষ’।আমরা প্রার্থনা করছি যুদ্ধজয়ের হাসি দেখার। আবারও পর্দায় ঐন্দ্রিলার অভিনয় দেখার। হতে পারে আমাদের প্রার্থনা ফেসবুকে ছড়িয়ে, তাতে অসুবিধা কোথায়। সকলেই মনে মনে ঈশ্বরের কাছে জানাচ্ছি। তবে যখন কোন বড়মাপের অভিনেতা তা নিয়ে খিল্লি করেন, তখন আর বলার কি’বা থাকে। এক বাক্যে বলা যায় এটা শিল্পীর ‘ঔদ্ধত্যের প্রকাশ’!
‘Who is KK’ বলা গায়ক রূপঙ্কর বাগচী শতবার স্মৃতিচারণ করলেও জীবনকালে চাইলেও ভুলতে পারবেন না তাঁকে বলা কথা গুলো। ঠিক তেমনি অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী যতই আপনি বলেন না কেন মানুষকে অতটা বোকা বানানোর চেষ্টা করা মুর্খামি! ঐন্দ্রিলা’র জন্য যে যেভাবেই (ফেসবুকে হোক বা, মন্দিরে) প্রার্থনা করুক উদ্দেশ্য একটাই ঐন্দ্রিলার সুস্থতা কামনা। ঈশ্বর ফেসবুক করেন কি না সে-সব ন্যাকাবোকা কথা না লিখে, শিল্পী বা অভিনেতার আসল পরিচয় রাখুন শৈল্পিক ভাবনা ও কর্মে। চেষ্টা করুন তারই গভীরে ডুব দিতে। এতে করে আপনি বা আপনার মতো জ্ঞান দেওয়ারা অনেক উপরে উঠে যাবেন।
ঐন্দ্রিলা শর্মার খবর জানতে আমরা সবাই প্রতি মুহূর্তে উদগ্রীব। এমন একটি কঠিন সময়ে আপনার মতো কিছু বিদ্বজনের কটুবাক্য ব্যবহার করাটা জরুরি! এখনো ভেন্টিলেশনে অসাড় মেয়েটি। ঈশ্বরের উপরেই নির্ভর করছে ওঁর বাঁচা-মরা। আসুন সকলে প্রার্থনা জারি রাখি। সুস্থ হয়ে ওঠো ঐন্দ্রিলা।