গঙ্গাসাগর মেলা ও ‘বাংলার পাঁচ মন্দির’ কনভয় রেখে পায়ে হেঁটেই ঘুরে দেখলেন মন্ত্রী-বিধায়করা
কল্যাণ অধিকারী, গঙ্গাসাগর
গঙ্গাসাগর মেলাকে মিনি ভারত বলে থাকেন রাজ্যের মানুষ। দেশের সব প্রান্তের লাখো মানুষের ভিড় দেখে খুশি হয়ে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীও এমনটাই বললেন। শনিবার গঙ্গাসাগরে শাহি স্নানে ভিড় জমিয়েছিলেন লাখ-লাখ পুণ্যার্থী। তাঁদের সঙ্গেই পায়ে হেঁটে মেলা ঘুরলেন মন্ত্রী পুলক রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসু সহ অন্যান্যরা।
শনিবার সন্ধে থেকে শুরু হয়ে যায় শাহি স্নান। এদিন পর্যন্ত প্রায় ঊনচল্লিশ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলায়। এত মানুষের সমাগমকে সর্বকালিন রেকর্ড বলতে চান না রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়করা। মন্ত্রী পুলক রায় সাংবাদিকদের জানান, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেলার জন্য একগুচ্ছ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। দূরদূরান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীরা অতি সহজে মেলায় আসছেন ও শাহি স্নান শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি আরো জানান, মানুষকে আর গঙ্গাসাগরে আসতে ভাবতে হয়ে না। এক টিকিটেই সাগর সঙ্গমে মেলা প্রাঙ্গণে চলে আসছেন যা অভাবনীয় উদ্যোগ।”
গঙ্গাসাগরে বাংলার পাঁচটি শক্তিপীঠের মডেল তুলে ধরা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় মেলা মাঠের চার নম্বর রাস্তার মাঝামাঝি এলাকায় মন্দীর তির্থে হেঁটেই পৌঁছে যান মন্ত্রী-বিধায়ক সকলেই। বাংলার অন্যতম পাঁচ তীর্থভূমি তারাপীঠ, কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর ও জহুরা কালী মন্দির ঘুরে ঘুরে দেখেন। প্রণাম সারেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা, সহ সকলে। সাংবাদিকদের অরূপ বিশ্বাস বলেন, “বাংলার এই পবিত্রভূমি গঙ্গাসাগরে বাংলার পাঁচ পুণ্যতীর্থকে একযোগে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। দেশের সব প্রান্তের মানুষজন এক লহমায় তা দর্শন করে নিচ্ছেন।”
ম্ভ মেলা না হওয়ার কারণে গঙ্গাসাগর মেলাতে উপচে পড়ছে ভিড় এমনটা মানতে নারাজ প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ। তাঁদের যুক্তি রাজ্য সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল বদলের কারণ এবং পুরাণকথা ও লোকগাথার পরম্পরা তুলে ধরার কারণটাও ভিড় বাড়ার অন্যতম কারণ। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা সাংবাদিকদের জানান, “রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শাহি স্নান রয়েছে। প্রশাসন সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে। এই পর্যন্ত তিনজনকে এয়ার এম্বুলেন্সে পাঠানো হয়েছে হাওড়ায়।”