আইনত নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও মানুষের চাহিদায় চোরাচালান বাড়ছে দেশীয় টিয়া, চন্দনার
রাজন্যা নিউজ ব্যুরো
উলুবেড়িয়া গরুহাটায় দীর্ঘদিন যাবৎ পশুপাখির হাট বসে। হাটে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাবেচার সাথে সাথে নিষিদ্ধ পাখিও বিক্রি হচ্ছে খবর ছিলো। সেইমতো গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে বন বিভাগকে নিয়ে পাহাড়ি চন্দনা টিয়া পাখির বাচ্চা উদ্ধার করল হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সদস্যরা।
জানা গেছে, পাহাড়ি চন্দনা টিয়া পাখির বাচ্চা বিক্রির জন্য রাখা হয়েছিল। জানতে পেরেই পরিবেশ প্রেমি চিত্রক প্রামানিক, সৌমিক দাস ও শুভ মান্না গোপনে অভিযান চালায়। উলুবেড়িয়া বানীবন হাটতলায় ফরিদ পুরকাইত এর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৫ টি পাহাড়ি চন্দনা বা অ্যালেক্সান্দ্রিন প্যারাকীট। ফরিদ পুরকাইত বিদেশী পাখি বিক্রির আড়ালে এই নিষিদ্ধ দেশীয় পাহাড়ি চন্দনা টিয়া ও বিক্রি করত। বন বিভাগ পাখিগুলি গড়চুমুক চিড়িয়াখানায় নিয়ে গেছে এবং ধৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কয়েকদিন আগে বাগনান থেকেও ২৩ টি পাহাড়ি চন্দনা টিয়া পাখির বাচ্চা উদ্ধার হয়। আবার আজ ১৫ টি। অ্যালেক্সান্দ্রিন প্যারাকীট ভারতীয় বন্যপ্রাণ আইনে তফসিলি ১ এর অন্তর্ভুক্ত।