দুষ্কৃতিদের মারে দেওরের মৃত্যু, শোকে মারা গেলেন বৌদি, অসুস্থ আরো ১ বৌদি
কল্যাণ অধিকারী, রাজন্যা নিউজ
গ্রামের পুজো দেখে বাড়ি ফেরার পথে বচসা। তারপর দুষ্কৃতিদের বেধড়ক মারে হাসপাতালে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনার শোকে মৃত্যু হল পরিবারের আর এক সদস্য (মৃতের সম্পর্কে) বৌদির। হাসপাতালে ভর্তি আরো ১বৌদি। আমতা থানার সোমেশ্বর গ্রামের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রামের মানুষজন। দুষ্কৃতিদের ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে আমতা থানার পুলিশ। মৃত ব্যক্তির নাম অসিত মাজি (৪৩), বৌদি লক্ষ্মী মাজি (৩৮)।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। গ্রামে নারায়ণের অনন্তশয্যা পুজোর অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি ফিরছিলেন কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারানো ব্যক্তি অসিত মাজি। দুই অভিযুক্ত পাপাই ও নয়ন ওই সময় কাজ থেকে ফিরছিল। ওঁদের সঙ্গেই কোনভাবে সাইকেলে ধাক্কা লেগে যায়। এরপরেই অভিযুক্তরা বচসা জুড়ে দেয়। সেই বচসা থেকেই হাতাহাতি। অভিযুক্তদের বেধড়ক মারে গুরুতর আহত হন। আমতা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আহত ব্যক্তিকে। পরে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়। ঘটনার কথা বাড়িতে জানাতেই শোকে কাতর হয়ে পড়ে পরিবারের লোকজন। বাড়ির দুই বৌদিকে আমতা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় লক্ষ্মী মাজির। অভিযুক্তদের কঠোর দাবি জানিয়ে আমতা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিবাহিত অসিতের স্ত্রী ও পুত্র রয়েছে। লক্ষ্মীর স্বামী ও দুই মেয়ে রয়েছে। দুজনের মৃত্যুতে দুটি পরিবার ভেসে যাওয়ার উপক্রম। অভিযুক্তদের শাস্ত্রির দাবিতে উত্তপ্ত এলাকা। বাড়িতে দেখা গেল ছেলেকে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অসিতের স্ত্রী। এমন ঘটনায় হতবাক এলাকার মানুষজন। অসিতের মাথাটা একটু খারাপ। একটু বেশিই কথা বলে। গ্রামের প্রায় সকলেই তা জানে। তারপরেও ওঁকে বেধড়ক মেরে অভিযুক্তরা মেরেই ফেলল। শোকে মৃত্যু হল পরিবারের আরো একজনের। আমতা থানা সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে।