কুলিয়ায় ‘স্বপ্নের সেতু’ নির্মাণ কাজের সূচনা করলেন মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়ক

কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ

স্বপ্নের কুলিয়া সেতুর নির্মাণ কাজের একযোগে সূচনা করলেন সাংসদ, মন্ত্রী ও বিধায়ক। দীর্ঘদিন বাদে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি দ্বীপাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। আমাদের গর্ব আমরা একজন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছি। তাঁর জন্য কুলিয়া সেতু নির্মাণ শুরু করতে সক্ষম হয়েছি, জানালেন পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী মন্ত্রী পুলক রায়। 

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর প্রথম ঝাঁ চকচকে কংক্রিটের সেতু পেতে চলেছে আমতা-২ ব্লকের ভাটোরা চিতনান এলাকার হাজার-হাজার মানুষজন। শনিবার আনুষ্ঠানিক নির্মাণ কাজের শুরু করলেন রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়। ছিলেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ, বাগনানের বিধায়ক অরুনাভ সেন, আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল, জেলা পরিষদের সহ সভাপতি, আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সহ অন্যান্য আধিকারিক। উৎসবমুখর আয়োজনের মধ্য দিয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হল। মঞ্চে এদিন জমিদাতাদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়। 

স্থানীয়দের দাবি, বছরে দু-তিন বার বাঁশের পাড়া জলের তোড়ে ভেসে যেত। তখন নৌকায় পারাপার করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হত। বারবার সেতুর দাবি জানিয়েছি। অবশেষে সরকার নির্মাণ কাজের শুরু করল। দ্রুত কাজ শেষ হলে তবেই স্বস্তি মিলবে। এর আগে বেশ কয়েকবার সেতু নির্মাণ নিয়ে শিলান্যাস হয়েছে একটা ইট গাঁথা হয়নি। কুলিয়া সেতু নির্মাণে টালবাহানা নিয়েও এদিন মন্ত্রী বিধায়করা বিস্তারিত জানালেন। নতুন সেতুতে থাকবে ফুটপাত। একি সঙ্গে কুলিয়ায় বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ হবে বলেও জানান মন্ত্রী পুলক রায়। একি সঙ্গে কুলিয়া থেকে বাকসি অবধি চওড়া রাস্তা নির্মাণ নিয়েও প্রতিশ্রুতি শোনা গেল।

পুলক রায় জানান, “মুন্ডেশ্বরী নদীর উপর কুলিয়া সেতু তৈরি হবে। বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে যাতায়াতের দিন শেষ। সেতু তৈরিতে ২৬ কোটি ও জমি কিনতে ৩ কোটি খরচ। মোট ২৯ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৬৫ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার চওড়া সেতুটি নির্মাণ হবে। সেতুটি নির্মাণ ছাড়াও ভাটোরার দিকে ২৩০ মিটার এবং কুলিয়ার দিকে ২৩৫ মিটার অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হবে।”

বাস্তবের সেতু নির্মাণ হবে যেন ঘোর কাটছে না গ্রমাবাসীদের। কুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে সরকারি অনুষ্ঠানের সামনে হাজারো গ্রামবাসী ভিড় করেছিলেন। প্রদীপ জ্বালিয়ে ও নারকেল ভেঙে কাজের শুরু হতেই হাততালি দিয়ে উচ্ছ্বাস করলেন গ্রামের মানুষ জন। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করেছেন দ্বীপাঞ্চলের ৬০-৭০ হাজার বাসিন্দা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *