মুক্তিরচক গণধর্ষণ কান্ডে অভিযুক্ত ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা আদালতের

কল্যাণ অধিকারী

২০১৪ সালের শাশুড়ি ও বৌমা’কে গণধর্ষণের ঘটনায় আমতার মুক্তিরচক গ্রামের অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা আমতা আদালতের। সর্বোচ্চ ২০ বছরের সাজা হাওয়ায় খুশি নির্যাতিতার পরিবার। তবে মূল ২ অভিযুক্ত রঞ্জিত মণ্ডল ও জগৎ মণ্ডল ছাড় পাওয়ায় উচ্চ আদালতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করেছেন এমনটাই পরিবার সূত্রে জানা গেছে। 

২০১৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে মুক্তিরচকে গ্রামেরই ২ তৃণমূল নেতা সহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। রাতে মুক্তিরচক এলাকা অন্ধকার করে নির্যাতিতাদের বাড়িতে ঢুকে শাশুড়ি ও বৌমার উপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়। ওই ঘটনা রাজ্যজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। ২০১৫ সালে শুরু হয় আমতা আদালতে বিচার। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে চলে মামলা। আসামিদের দীর্ঘ জেরা এবং সওয়াল-জবাব শেষে রায়দান ঘোষণা হল শনিবার। মোট ৮ জনের যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে রঞ্জিত মন্ডল ও জগত মন্ডল ছাড় পাওয়ায় উচ্চ আদালতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। 

শনিবার আমতা আদালতের বিচারক রোহন সিনহা মুক্তিরচক কান্ডে দোষী বরুণ মাখাল, বংশী গায়েন, নব গায়েন, সৈকত মণ্ডল, সুকান্ত পাত্র, গৌতম মাখাল, গৌরহরি মাখাল ও শংকর মাখালের কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও আর্থিক জরিমানা করেছেন। তবে অভিযোগকারীনির পরিবারের কথায়, রঞ্জিত মণ্ডল ও জগৎ মণ্ডলের নেতৃত্বে সেদিন ভয়ংকর নির্যাতনের শিকার হয় শাশুড়ি ও বৌমা। তাদের নির্দোষ ঘোষণা মানা যাচ্ছে না। ওঁদের ফাঁসির সাজা হোক এই আবেদন উচ্চ আদালতে জানাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *