বেহালার দুর্ঘটনা আতঙ্কে রাখছে গ্রামীণ হাওড়ার দিদিমণিদের!

কল্যাণ অধিকারী

বেপরোয়া লরির ধাক্কায় শিশু-মৃত্যু, বেহালার ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে গ্রামীণ হাওড়ার মানুষদের, আতঙ্কে দিদিমণিরা।লরি-পিকআপ ভ্যানের গতি গ্রামীণ হাওড়াতেও। এখনো সপ্তাহ ঘোরেনি। বুধবার তিন দিদিমণির গাড়িতে ধাক্কা মেরে অটো ছিটকে দিয়েছিল পিকআপ ভ্যান। দুই দিদিমণি হাওড়া ও কলকাতায় চিকিৎসাধীন। এক দিদিমণি চোখের আঘাত গুরুতর।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে শতাধিক পিকআপ ভ্যান মাছ নিয়ে বাগনান, আমতা সহ বিভিন্ন এলাকা দিয়ে উদয়নারায়নপুর অভিমুখে যায়। ওই সমস্ত গাড়ি বেলার দিকে ফেরার পথে বেপরোয়া গতিতে যাতায়াত করে। তারই ফল ভোগ করছেন রঘুনাথপুর গার্লস হাইস্কুলের তিন দিদিমণি এবং এক অটো চালক। সেহাগোড়ি-উদয়নারায়ণপুর সড়কে পিকআপ ভ্যান ও অটো দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। ওই সড়কে এর আগে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত দশ জনের এমনটাই দাবি করছেন স্থানীয়রা। তবে দু’দিন আগের দুর্ঘটনা আতঙ্কে রাখছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।

আমতা-বাগনান সড়কেও বেপরোয়া গাড়ির দাপট। আমতা থানার একটি সূত্র জানাচ্ছে, আমতা-বাগনান সড়কে একাধিক পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষজনের পাশাপাশি বাঘরোল সহ বিভিন্ন বিপন্ন নিরিহ প্রাণী মারা পড়ছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জয়পুর থানা সূত্রে জানা গেছে, বেপরোয়া গতিতে চলাচল করা গাড়ি আটকাতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। দিদিমণিদের অটোয় ধাক্কা মারা পিকআপভ্যানটি আটক করা হয়েছে।

ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারদের একাংশের কথায়, ‘স্কুল টাইমে সাইকেল চালিয়ে পড়ুয়ারা আসে স্কুলে। বহু দূরদূরান্ত থেকে নিজস্ব গাড়িতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসেন। পুলিশের নজরদারি থাকে না বললেই চলে। মোড়ে মোড়ে সিভিকরা থাকলেও গাড়ির গতি কমানোর প্রযুক্তি চালু করা হোক। গ্রামীণ এলাকায় রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা নেই বললেই চলে। ফলে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন চালকরা। বিশেষ করে মাছের গাড়ির চালকরা। ওদের গতি সর্বাধিক থাকে’।

গ্রামীণ পুলিশের এক কর্তার কথায়, গ্রামীণ এলাকায় সিগন্যালিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো, দুর্ঘটনা কমাতে সড়কে স্পিড ব্রেকার (গতিরোধক) তৈরী করা হয়েছে। পুলিশের নজরদারি থাকছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *