পুণ্যস্নানের আগেই সাগরে পুণ্যার্থীর সংখ্যা ৪৫ লাখ পার: মন্ত্রী অরূপ
কল্যাণ অধিকারী, গঙ্গাসাগর
শাহি স্নান শুরুর আগেই রেকর্ড ভিড় গঙ্গাসাগরে। পুণ্যস্নানের আগেই সাগরে পুণ্যার্থীর সংখ্যা ৪৫ লাখ পার। শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর পাশে বসে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, তিন বার কুম্ভ মেলায় গিয়েছেন কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলার মতো এত মানুষের ভিড় তিনি দেখেননি।
গত পাঁচ বছর ধরে গঙ্গাসাগর মেলার দায়িত্ব পালন করে আসছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বোস। কিন্তু ১২ তারিখ তাঁর বাড়িতেই দীর্ঘ ১৪ ঘন্টা টানা তল্লাশি চালায় ইডি। শনিবার মেলায় সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর দফতরের সমস্তটা তুলে ধরেন সুজিত বাবু। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করে বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে!” এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী বর্তমানে তিনি পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী। সাগরে পুণ্যার্থীদের জন্য ২৫০০ টি বাস, ৬টি বার্জ, ৩৮ টি ভেসেল, ১০০ টি লঞ্চ চলাচল করছে। এতে করে পুণ্যার্থীরা সহজেই যাতায়াত করে পৌঁছে যাচ্ছেন কপিল মুনির আশ্রমে।
মেলায় প্রথম থেকে নজরদারি চালচ্ছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। ইয়াস ঝড়ে কপিলমুনি মন্দির বরাবর সমুদ্রতটে ধস নেমেছিল। এবার তা নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। একি সঙ্গে কপিল মুনির আশ্রম সহ মেলা চত্বরকে সুন্দর ভাবে সুসজ্জিত করে তোলা হয়েছে। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বিশ্রামাগার, নতুন নতুন পাকা রাস্তা, স্ট্রিট লাইটস, তীর্থযাত্রী নিবাস, পানীয়জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন সবটাই জানালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী ইন্দ্রনিল সেন, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট।
শনিবার অবধি মোট ৫ জন পুণ্যার্থীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে পাঠানো হয়েছে কলকাতার হাসপাতালে। তাঁরা প্রত্যেকে বিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসিন্দা। এর পাশপাশি নামখানা ও সাগরে ২ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে তবে সরকারি ভাবে মান্যতা মেলেনি।