সাগর মেলায় গুরু দায়িত্ব সামলে নজির পরিবহণ এবং জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দফতর

কল্যাণ অধিকারী, গঙ্গাসাগর

সাগরমেলায় পুণ্যার্থীদের পৌঁছে দিতে অভূতপূর্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগম। যা পুরোদমে সফল দাবি করা হয়েছে। হাওড়া ও বাবুঘাট থেকে সহজেই পৌঁছে গেছেন কাকদ্বীপ ও নামখানা। একিসঙ্গে এক টিকিটেই তীর্থযাত্রীরা পৌঁছেছেন গঙ্গাসাগর মেলায়। ছিল অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার। এতে করে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তীর্থযাত্রীদের ভোগান্তি কমানো গিয়েছে। বাস ও ভেসেলে বারেবারে টিকিট কাটার জন্য লম্বা লাইন ঠেলতে হয়নি।

পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী জানান, “সাড়ে তিন হাজার বাস পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ, ৬টি বড় বার্জ ছিল। এক একটি বার্জে একসঙ্গে ৫ হাজার মানুষ পার হয়েছেন। এবারে মোবাইল টিকিট ও কাকদ্বীপ এবং নামখানায় অতিরিক্ত অনেক টিকিট কাউন্টার ছিল। এছাড়া ঘাটে ঘাটে পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা ছিলেন। আরটিও ছিলেন। প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন। মেলা থেকে যাতে করে সুস্থভাবে তীর্থযাত্রীরা ফিরে যেতে পারেন তারজন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “বাইরে থেকে আসা তীর্থযাত্রীদের জন্য কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর এবং ভূকৈলাস শিব মন্দির দেখানোর জন্য আটটি বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীরা চাইলে ওই বাসে করে পৌঁছে যেতে পারবেন কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বর মন্দির।”

গঙ্গাসাগর মেলায় আগত তীর্থযাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত পানীয়জলের ব্যবস্থা করেছিল জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দফতর। মেলায় ক’দিন আগত তীর্থযাত্রীদের পানীয়জলের পাউচ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় জানান, “সাগর মেলায় প্রায় ১ কোটি ৭ লক্ষ জলের পাউচ বিলি করা হয়েছে। লট-৮, কচুবেড়িয়া, গঙ্গাসাগরে ওয়াটার মেশিন সর্বদা কাজ করে চলেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানীয়জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একি সঙ্গে বিভিন্ন ট্যাপের পানীয়জল পরীক্ষা করা হচ্ছে।”

মন্ত্রী আরও বলেন, “মেলায় হঠাত অন্ধকার না হয় তারজন্য অতিরিক্ত ইউপিএস ব্যবহার করা হয়েছে। ডিজেল চালিত জেনারেটর ব্যাকআপ রাখা হয়েছে। যাতে করে মেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জের না হয়। এছাড়া হোগলা, বাস, কাপড়ে অগ্নিনিরোধক দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে আগুল লাগলেও কোনও ভাবেই তা ছড়াতে না পারে। মেলায় আগত এক কোটি মানুষের সমস্ত পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। যারা এখনো আসছেন তাঁদেরও পরিষেবা দেওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *