হাওড়া ব্রিজে ৭ফুট রেলিং টপকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা

কল্যাণ অধিকারী

হাওড়া ব্রিজে ফুটপাথের রেলিং টপকে বিপজ্জনকভাবে গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা যুবকের। শনিবারের এই ঘটনায় পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে যুবককে ধরে ফেলে। দড়ি দিয়ে রেলিংয়েই তাঁকে হাত-পা বেঁধে রাখে পুলিশ। পরে দমকলের আধিকারিকরা এসে উদ্ধার করে। কোনক্রমে প্রাণরক্ষা পেয়েছেন যুবক। কি উদ্দেশ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা জানা যায়নি। 

হাওড়া ব্রিজ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা রুখতে ব্রিজের রেলিংয়ের উচ্চতা কয়েক বছর আগে বাড়ানো হয়েছে। রেলিংয়ের মাথায় লাগানো হয়েছে কাঁটা তার। কিন্তু শনিবার প্রায় সাত ফুট লম্বা রেলিং টপকে কাঁটা তার ডিঙিয়ে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন এক যুবক। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিন ঘটনার পর দমকল ও পুলিশের আধিকারিকরা তৎপরতার সঙ্গে যুবককে ধরে ফেলে। বহুক্ষণ হাত পা বেঁধে রেলিংযে আটকে রাখা হয়। বহু সাধারণ মানুষ ভিড় জমান। পুলিশ আধিকারিকদের একাধিক প্রশ্নের সামনে নির্বাক চোখে তাকিয়ে ছিলেন। কোন কথাই বলেনি যুবক। এরফলে নাম ঠিকানা কোনকিছুই জানতে পারেনি পুলিশ। দমকল আধিকারিকরা উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। 

 হাওড়া দমকল বিভাগের আধিকারিক সোমনাথ প্রামাণিক বলেন, “কীভাবে ওই যুবক রেলিং টপকালেন তা জানা যায়নি। পুলিশ ওকে কোনভাবে বেঁধে রেখেছিল। সেফটি এবং সিকিউরিটি তার কেটে যুবককে সুরক্ষিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। তারপর চিকিৎসার জন্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কোনভাবে গঙ্গায় পড়ে গেলে কি ঘটতে পারতো তা সকলেই অনুভব করতে পারছে। আমরা চেষ্টা করেছি ওই যুবকের পরিচয় জানতে। কিন্তু কিছুই কথা বলেনি।”  

সাধারণ মানুষের কথায়, হাওড়া ব্রিজের বয়স আশি বছর পেরিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হওড়া ব্রিজ। ভিন রাজ্য থেকে বহু মানুষজন হাওড়া ব্রিজ পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখেন। এদিনের ঘটনার পর সাধারণ মানুষজন সেতুতে পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছে। শ্রীরামপুরের বাসিন্দা চন্দনা সাহা জানান, আমাদের কাছে গর্বের হাওড়া ব্রিজ। কর্মসূত্রে কলকাতায় আসতে হয়। এখন তো দেখি ফুটপাথ ছেড়ে সেতুর রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষজনকে ছবি তুলতে। আজ তো অত উঁচু রেলিং টোপকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন এক যুবক। পুলিশি নজরদারির বিষয়টি প্রশ্নের সম্মুখীন করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *