পাঁচলায় গোখরো উদ্ধারের সময় বিষধরের ছোবলে মৃত্যু পরিবেশ কর্মীর
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
হাওড়া পাঁচলার খসমারা বাজারে জালে আটকা পড়া গোখরো সাপ উদ্ধারে গিয়ে বিষধরের কামড়ে মৃত্যু হল জেলার এক পরিবেশ কর্মীর। মৃত যুবকের নাম ইন্দ্রজিৎ আদক। বয়স ৪৪। বাড়ি হাওড়ার দেউলপুরে। একজন পরিবেশ কর্মীর সাপের কামড়ে এমন অকাল মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি মানছেন জেলার পরিবেশ কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খসমারা বাজারে একটি বাগানে বিষধর গোখরো সাপ জালে আটকা পরে। এলাকার দীর্ঘদিনের পরিবেশ কর্মী ইন্দ্রজিৎ আদক খবর পেয়ে সাপটি উদ্ধার করতে যায়। অসাবধানতাবশত গোখরো সাপটি ইন্দ্রজিৎ আদকের বাম হাতের বুড়ো আঙুলে কামড় দেয়। বেলা এগারো টায় এই ঘটনা ঘটার পরেও প্রায় দুই ঘন্টা তিনি হাসপাতালে যাননি। অবশেষে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁর এলাকার কয়েকজন স্থানীয় গাববেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে গাববেড়িয়া হাসপাতালে কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী চিত্রক প্রামানিক ও শুভজিৎ মাইতি আসেন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে এভিএস প্রয়োগ করে উলুবেড়িয়া মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। কিন্তু উলুবেড়িয়া মেডিকেল কলেজ যাওয়ার পথে রাস্তাতেই অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর মৃত্যু ঘটে।
৪৪ বছর বছর বয়সী ইন্দ্রজিৎ আদক পেশায় একজন ফিজিওথেরাপিস্ট। দীর্ঘ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের উপর কাজ করে আসছেন।
বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী ও সর্প উদ্ধারকারী চিত্রক প্রামানিক এবং শুভজিৎ মাইতি বলেন, ইন্দ্রজিৎ আদকের মতো পরিবেশকর্মীর এভাবে চলে যাওয়া পরিবেশের জন্য বড়ো ক্ষতি। কিন্তু ইন্দ্রজিৎ আদক নিজে সাপ নিয়ে সচেতনতা প্রচার করেও কিভাবে একটা বিষধর গোখরো সাপ কামড় দেওয়ার পর দুই ঘণ্টা হাসপাতালে গেলেন না, এটাই চিন্তার বিষয়! যেকোনো বিষধর সাপ কামড় দিলে, সময় নষ্ট না করে তৎক্ষণাৎ নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে যাওয়া উচিত। দীর্ঘদিন ইন্দ্রজিৎ দার সাথে কাজ করেছি। এটা অপূরণীয় ক্ষতি।