বাজার আগুন! মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মধ্যবিত্তের পকেটে টান

কল্যাণ অধিকারী

দুর্গা পুজো মিটতেই মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতেছে বাংলা। সংসারে দূর হোক অনটন, দূর হোক ক্লেশ, ঘরে আসুক সৌভাগ্য, দুর্দিন হোক শেষ! কিন্তু বাজারে গিয়েই চিন্তার মেঘ। জিনিসের অগ্নিমূল্য দেখে অনেকেই পুজোর বাজার কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কেন এমনটা হল? ক্রেতাদের একাংশের ক্ষোভ, টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা কোথায় গেলেন? বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। কীভাবে পুজো করব ভেবে পাচ্ছি না।

কোজাগরী পূর্ণিমার তিথিতে হিন্দু ধর্মের বিশেষ করে বাঙালির ঘড়ে ঘড়ে গৃহ দেবীর আরাধনায় মেতে উঠেছেন। গৃহ দেবীর আরাধনা করতে পুজোর উপাচার ফল-ফুল থেকে সবজি সবকিছুরই আগুন ছোঁয়া দাম। এককথায় মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। সবে গেছে বাঙালির বড় উৎসব দুর্গা পুজো মধ্যবিত্তের হাত টান ,তারপরই গৃহে লক্ষী পুজো। বাজারের যা দাম তাই নমো নামো করে পুজো সারছেন । দেবীকে ভোগ দেবে সেই সবজির দামও আগুন। এসব নিয়ে কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।

সঞ্জয় জানা নামে এক ক্রেতা বলেন, বাড়িতে পুজো হয় যে জিনিসে হাত দিচ্ছি তাতেই দাম বেশি । যতটুকু নিয়ম মেনে পুজো তে দিতে হয় অল্প করে কেনা । বাড়িতে খিচুড়ি ভোগ হয় সবজির দামও আকাশ ছোঁয়া টমটম ১৫০ টাকা ছুয়েছে। মা কে সন্তুষ্ট করতে যতটুকু করতে হয় করা হচ্ছে। আরমান নামে এক ফল বিক্রেতা বলেন জিনিসের দাম বেশি আছে এই দামের জন্য অল্প পরিমাণে কিনছেন ক্রেতারা।

মানিক নামে এক ক্রেতা বলেন সদ্য দুর্গা পূজা গেছে মানুষের পকেট ফাঁকা এই অবস্থার মধ্যে যদি চড়া দাম হয় সাধারণ মানুষ কি করবে । আপেল ৮০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা হয়েছে , আলু ৩৫ টাকা হয়েছে। শসা ৬০, ফুলকপি ১০০। জিনিসের দ্রব্যমূল্যের মধ্য দিয়েও লক্ষী লাভের আশায় পুজো সারছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *