সামনেই দীপাবলি মোমবাতি, মাটির প্রদীপের চাহিদা তুঙ্গে খুশি ফুটেছে গ্রামের শিল্পীদের
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
হাতে আর কয়েকটি দিন তারপর দীপাবলি। দীপাবলির বাজার এখন থেকেই রঙিন মোমবাতি, মাটির প্রদীপের জোর চাহিদা। জেলার শহর থেকে গ্রামীণ সর্বত্র জমজমাট বাজার। দোকানে দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। হাসি ফুটেছে গ্রামের মোমবাতি ও প্রদীপ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মৃৎশিল্পীদের।
বাগনান স্টেশন থেকে চার কিমি দূরে বাঙালপুর গ্রাম। এখানেই ঘরে ঘরে মোমবাতি তৈরি করেন গ্রামের মানুষজন। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, এই বাঙালপুরে রয়েছে বাঙালপুর মহিলা বিকাশ সমিতি। ১৯৯৭ সালে বাগনান ১ নং ব্লকের বাঙালপুর মহিলা বিকাশ সমিতির পথ চলা শুরু হয়। ওঁদের উদ্যোগে গ্রামের মহিলারা এখন বছরভর প্রদীপ এবং মোমবাতির পাশাপাশি ডিটারজেন্ট, ফিনাইল, ধূপকাঠি, সাবান তৈরি করেন। এখানকার সদস্য জোৎস্না, প্রত্যূষা, কাকলি, মহামায়াদের হাতে বানানো মোমবাতি, পৌঁছে যাচ্ছে জেলার সর্বত্র।

বাকসি হাটের পাশে ইট ভাটা। তার কাছাকাছি এলাকায় কুমোর দোকানে তৈরি হচ্ছে মাটির প্রদীপ। তার উপর লাল রঙের প্রলেপ দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাজারে। এ দৃশ্যের দেখা মিলছে শ্যামপুর, ৫৮গেট, উদয়নারায়ণপুর সর্বত্র। মৃৎশিল্পীদের কথায়, করোনা পরবর্তী সময় থেকে মানুষের মধ্যে মাটির প্রদীপ ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। ঘর সাজানো ক্ষেত্রে চমক নিয়ে এসেছে। সবটাই হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে। ক্ষুদ্র শিল্পে সরকারি ঋণ ও সহায়তা মেলায় বছরভর মাটির চায়ের কাপ, হাড়ি, কলসি বানানোয় শিল্পীদের আগ্রহ বাড়ছে। তবে দুর্গাপুজোর পর থেকেই মাটির প্রদীপ বানানো শুরু করে দিতে হয়েছিল। মাঝে দানার প্রভাবে টানা বৃষ্টি স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া কিছুটা চিন্তায় রেখেছিল। শুকনো হচ্ছিল না প্রদীপ। চাহিদা অনুযায়ী প্রদীপ বানাতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় মৃৎশিল্পীদের।