শীতে যাবেন নাকি সিকিমের পাহাড়ের ঢালে একমাত্র চা বাগান ঘেরা বাংলোতে
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
বছর শেষে সিকিম যাওয়ার ইচ্ছে। বন্ধু পরিবারের সঙ্গে ক’টাদিন কাটাতে চান পাহাড়ি চা বাগানে ঘেরা অপরিচিত ডেস্টিনিশনে। ইচ্ছে করছে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে সূর্যোদয়, পাখির কুজন, মনপসন্দ খাওয়াদাওয়া তাহলে জেনে নিন সমস্তটা। শিয়ালদহ বা হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে পৌঁছে যান এনজেপি অথবা শিলিগুড়ি। তারপর ১২০ কিমি পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ সিকিমের টেমি চা বাগান। পাহাড়ের গা বেয়ে যতদূর চোখ যাবে ঢেউ খেলানো চা গাছের সারি। মন তখন উড়ু উড়ু।
টেমি টি গার্ডেনের মধ্যেই রয়েছে এই সাজানো গোছানো বাংলো। চা বাগানের কোলে হেলান দেওয়া চেয়ারে বসে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন ছুটি। চা বাগানের রাস্তা ধরে মর্নিং ওয়াক সারতে পারবেন ভোরবেলাতেই। তারপর বাংলোতে বসেই ভোরবেলায় সূর্যোদয় আপনার ভ্রমণকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। সঙ্গে রয়েছে বাংলোয় সুস্বাদু খাবার। তবে এখানেই কিন্তু শেষ নয়, কপাল ভালো থাকলে আশেপাশের জঙ্গল থেকে চা বাগানে ঘুরতে আসা বন্যপ্রাণীর দেখা মিললেও মিলতে পারে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ধীরে ধীরে ক্রংকিটের জঙ্গল ছেড়ে সবুজের মাঝখান দিয়ে এগিয়ে চলবেন দক্ষিণ সিকিমের অন্যতম বিখ্যাত হিল স্টেশন টেমি টি গার্ডেন। দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। চা বাগানের ধারে বাংলোয় একটা রাত্রি এখানে কাটাতেই পারেন।

কীভাবে পৌছাবেন থাকবেন কোথায়
শিলিগুড়ি থেকে দূরত্ব ১২০ কিমি। ঘন্টা চারেকের যাত্রায় পৌঁছে যাওয়া যায়। গাড়ি ভাড়া এন.জে.পি থেকে ৪০০০-৪৫০০ টাকা (সিজন অনুযায়ী ওঠানামা করে)। শিলিগুড়ির SNT বাসস্ট্যান্ড থেকে শেয়ার গাড়িতে নামচি পৌঁছে সেখান থেকেও যেতে পারেন জন প্রতি ভাড়া ৪০০ টাকা। নামচি থেকে টেমি চা বাগানের দূরত্ব ১৮ কিমি। যাওয়ার পথে দেখে নিতে পারেন সাইবাবা মন্দির, আলে গুম্ফা, কিতাম বার্ড সাংচুয়ারি, চার ধাম বা সিদ্ধেশ্বর ধাম, রক গার্ডেন, বাইচুং ভুটিয়া স্টেডিয়াম, দ্বাদশ জ্যোতি লিঙ্গ, দেবাদি দেব মহাদেবের বৃহৎ মূর্তি।
এখানে আসলে অভিজ্ঞতার এক পরম প্রাপ্তি মিলবে। তবে এখানে থাকতে হলে খরচ কিছুটা বেশি লাগবে। এক রাত্রি কাটাতে ১৭৯০০ টাকা লাগবে। সিজেন অনুযায়ী রেট পরিবর্তন হবে। চাইলে এখান থেকেই পৌঁছে যেতে পারেন গ্যাংটক সহ সিকিমের সর্বত্র।