শিবপুরের জাগ্রত হাজার-হাত কালী মায়ের পুজো দেখতে উপচে পড়ে ভিড়

কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ

রাত পোহালেই কালী পুজো। বুধবার থেকেই পুজোর জোর তৎপরতা হাওড়ার শিবপুর ওলাবিবিতলায় হাজার-হাত কালীর মন্দিরে। ১৮৭০ সালে কলকাতার চোরবাগানের আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই মন্দির গড়ে ওঠে। বিগ্রহ বানিয়েছিলেন কুমোরটুলির প্রিয়নাথ পাল। দেবীর বাঁ হাতে খড়গ, ডান হাতে পঞ্চশূল, বাঁ পা সিংহের উপরে ও ডান-পা পদ্মফুলের উপরে রয়েছে।

ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, শিবপুর ও বোটানিকাল গার্ডেন থেকে অনতি দূরে ওলাবিবিতলা লেনের কাছে মন্দিরের অবস্থান। চণ্ডীপুরাণ বর্ণনা মতো, অসুর বধের সময়ে দেবী দুর্গা অনেক রূপ ধারণ করেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম তাঁর হাজার-হাতের রূপ। চণ্ডীপুরাণের সেই বর্ণনা মতো হাজার-হাতের কালী মূর্তি তৈরি করা হয়। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পরিবারই বংশানুক্রমে এই মন্দিরের সেবায়েতের কাজ করে।

বছরভর মন্দিরে হাজারো মানুষজন আসেন। মায়ের আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। কথিত আছে এই মন্দিরে এসে প্রার্থনা করেছিলেন দক্ষিণ ভারতীয় এক ব্যক্তি। তারপরেই তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছিলেন। মায়ের দিকে একবার তাকালেই মনে শান্তি মেলে। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন মায়ের কাছে পুজো দেন। প্রায় ২৫ ফুট উঁচু মায়ের এই মূর্তি রয়েছে। মা কালীর এই রূপ সচরাচর দেখা যায় না। শোনা যায়, এখনও পর্যন্ত কেউ মায়ের হাজারটি হাত গুনতে পারেননি। গোনা বারণও রয়েছে। কালীপুজোর রাতে মূল পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দেবীকে পরানো হয় বেনারসী শাড়ি। এ দিন প্রচুর ভক্ত সমাগম হয় মন্দিরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *