উলুবেড়িয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন মন্ত্রী, পরিবারের পাশে থাকার বার্তা
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
বাজির ফুলকি থেকে ঘরের মধ্যেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে ২ শিশু-সহ ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই শোকে পাথর উলুবেড়িয়ার ২৭ নং ওয়ার্ডের উড়ালপুলের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা। গঙ্গারামপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন মন্ত্রী পুলক রায়। তিনি বলেন, “খুব মর্মান্তিক এই ঘটনা। আমরা সবাই পরিবারের পাশে আছি। ইতিমধ্যে একজন অগ্নিদগ্ধের ভালো চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।”
শনিবার দুপুরে তিন শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কয়েকশো মানুষ ওই সময় এলাকায় উপস্থিত ছিলেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন সকলে। এদিন সকাল থেকে দিনভর ঘটনাস্থলে ভিড় ছিল সাধারণ মানুষদের। সামান্য একটা ফুলঝুরির আগুনই একমাত্র কারণ? অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। কীভাবে আগুন দ্রুত ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল তা নিয়ে একাধিক যুক্তি ও কথাবার্তা শুরু হয়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, বাড়িতে পেট্রোল বা ওই জাতীয় কাটা তেল মজুত ছিল। যে কারণে এতবড় আগুন লাগলো। কালীপুজোর জন্য প্রচুর বাজি মজুত থাকতে পারে। ওই কারণেই গোটা ঘর কার্যত পুড়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয় তানিয়া মিস্ত্রী (১১), ইশান ধারা (৩) ও মমতাজ খাতুন (৫)। মণীশা খাতুন নামে আরও একজন বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙালিয়া জানান, ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বাজি পোড়ানোর সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ফরেনসিককে খবর দেওয়া হয়েছে। ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করবে। রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, “খুব মর্মান্তিক এই ঘটনা। আমরা সবাই পরিবারের পাশে আছি। ইতিমধ্যে একজন অগ্নিদগ্ধের ভালো চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।”
উল্লেখ্য শুক্রবার রাতে উলুবেড়িয়ায় কাজ মিস্ত্রির বাড়িতে কয়েকজন বাজি পোড়াচ্ছিল। ওই সময় বাজি থেকে আগুন লেগে গোটা বাড়ির দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। ঘরের মধ্যে তিন শিশু-সহ মোট পাঁচজন আটকে পড়ে অগ্নিদগ্ধ হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উলুবেড়িয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে যান হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের পদস্থ কর্তারা। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন। শনিবার ফরেনসিক টিম নমুনা সংগ্রহ করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেবে।