মধ্য অগ্রহায়ণে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ঝোড়ো হাওয়ায় পড়ে গিয়েছে ধান মাথায় হাত কৃষকদের
কল্যাণ অধিকারী
পূর্বাভাস আগেই ছিল। শনিবার ভোর থেকেই শুরু হয়ে যায় ঝিরিঝিরে বৃষ্টি। মাঝেমধ্যে বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া। মধ্য অগ্রহায়ণে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় মাথায় হাত গ্রামীণ হাওড়ার কৃষকদের। পাকা ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তাঁরা। ঋণের টাকা পরিশোধ করবার ভয় চোখেমুখে।
নিম্নচাপের বৃষ্টি হতে পারে শনিবার, এমনটাই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। গ্রামীণ হাওড়ার, উলুবেড়িয়া, বাগনান, শ্যামপুর, উদয়নারায়ণপুর, আমতায় মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে। এখন পাকা ধান কাটার মরশুম। ঝোড়ো হাওয়ায় অনেক জায়গায় ধান পড়ে গিয়েছে। কোথাও আবার আগেই ধান কেটে মজুত করা হয়েছে। সেই সমস্ত ধান বৃষ্টিতে নষ্ট হতে পারে।
শ্যামপুরের কৃষক অনিমেষ পাত্র বলেন, পুজোর আগে একটানা বৃষ্টিতে বিশাল ক্ষতি হয়েছে চাষের। তারপর আবার শনিবার ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আকাশের মুখ ভার। পাঁচ বিঘা জমিতে পাকা ধান। ইতিমধ্যে এক বিঘা জমির ধান পড়ে গিয়েছে। এরপর জল জমলে ধানে কলা হয়ে যাবার আশংকা করছি। আমতার নারিট এলাকার কৃষকদের কথায়, এ-তো পাকা ধানে মই দেওয়ার মতো অবস্থা। ভারী বৃষ্টি হলে মাঠের ধান মাঠেই নষ্ট হয়ে যাবে। ধার-দেনা করে চাষ করে ধান ঘরে না তুলতে পারলে মহাজনের ঋণের টাকা পরিশোধ করব কেমনে!
জেলার এক কৃষি আধিকারিকের কথায়, “এ দিন ভোররাত থেকে শুরু হয় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ভারি বৃষ্টি হলে ধান চাষের ক্ষতির আশংকা রয়েছে। কৃষি দপ্তর নজর রাখছে। কৃষকদের পাশে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সবসময় পাশে রয়েছে।