কিশোরকে উঠোন থেকে তুলে নিয়ে গেল চিতাবাঘ
রাজন্যা নিউজ ব্যুরো, জলপাইগুড়ি
রাজ্যে ফের চিতাবাঘের হানায় মৃত্যু হল এক কিশোরের। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নাগরাকাটা ব্লকের দক্ষিণ খেরকাটা এলাকায়। বাড়ির উঠোন থেকে অস্মিক রাই (১২) নামে এক কিশোরকে তুলে নিয়ে যায় চিতাবাঘটি। পরে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে। জখম অবস্থায় নাগরাকাটার শুল্কাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এর আগে ২৮ আগস্ট জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের আংরাভাষা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের খুটাবাড়িতে চিতাবাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয় করিমূল হক (১২) নামে এক কিশোরের। চা বাগানের পর বনবস্তি এলাকায় ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাই এদিন অস্মিকের মৃত্যুর পর শুল্কাপাড়া হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চিতাবাঘের হানা থেকে কবে রেহাই মিলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে আসেন নাগরাকাটা থানার আইসি কৌশিক কর্মকার, খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার সজল কুমার রায়-সহ ডায়না রেঞ্জের বন কর্মীরা।
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সমির আহমেদ জানান, চিতাবাঘের আক্রমণে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দেহ ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এর আগেও দক্ষিণ খেরকাটা এলাকা থেকে এক কিশোরকে চিতাবাঘ মুখে করে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সেই কিশোরের। সেই ঘটনার রেষ কাটতে না-কাটতেই ফের চিতাবাঘের আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তায় বনকর্মী থেকে প্রশাসন। চিতাবাঘের হানা থেকে গ্রামবাসীদের রক্ষা করার চেস্টা করছেন তাঁরা। কিছুদিন আগে পরপর দু’টি চিতাবাঘ খাচাবন্দি করা হয়। এতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও মঙ্গলবারের ঘটনায় ফের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দা সুরজ ছেত্রী বলেন, ‘আংরাভাষা গ্রামপঞ্চায়েতের খেরকাটা বস্তিতে চিতাবাঘ আক্রমণ করে। বাড়ির সামনের দোকানে কিছু কিনতে গিয়েছিল কিশোরটি। সেই সময় কলাগাছের জঙ্গলের দিকে তাকে চিতাবাঘ টেনে নিয়ে যায়। তখনও প্রাণ ছিল। কিন্তু হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন।’