কোলাঘাট ফুলবাজার আধুনিকীকরণের দাবি

রাজন্যা নিউজ ব্যুরো

রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুলের বাজার হোল-পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ফুলবাজার। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে কোলাঘাট স্টেশন ডাউন এক নম্বর প্লাটফর্মের নিচে গড়ে ওঠা এই ফুলবাজার প্রত্যহ ভোর ৩ টে থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত বসে। ওই প্লাটফর্ম সংলগ্ন রেলের খাদের এক কোণে মাত্র ১৪৬৯ বর্গ মিটার জায়গার উপর বসা এই ফুলবাজারে হাওড়া, ™ূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে আনুমানিক প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার ফুলচাষী ও ব্যবসায়ী প্রত্যহ ফুল কেনাবেচার কারণে আসেন। ফুল চাষিদের অভিযোগ, রেল দফতর বাজারে আগত প্রত্যেক চাষীর কাছ থেকে প্রত্যহ ১০ টাকা ও ফুল ব্যবসায়ী এবং দোকানদারদের কাছ থেকে ২৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত টিকিট বাবদ অর্থ আদায় করে। অথচ বাজারে নেই মাথার উপর আচ্ছাদন,নেই ফুলবিক্রির জন্য মেঝে, পানীয় জল ও পর্যাপ্ত আলো,শৌচাগার প্রভৃতির বন্দোবস্ত। ফলস্বরূপ বাজারে আগত ক্রেতা, বিক্রেতা সহ প্রায় ৫ সহস্রাধিক মানুষজনদের প্রত্যহ এক পুঁতিগন্ধময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সৌন্দর্যের প্রতীক ফুল কেনাবেচা করতে হয়। এহেন গুরুত্বপূর্ণ এই ফুলবাজারটিতে ফুল সংরক্ষণ ব্যবস্থা সহ আধুনিক ফুলবাজার হিসেবে গড়ে তোলার দাবিতে সোমবার সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে রাজ্যের উদ্যান পালন দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায় ও স্মারকি মহাপাত্রকে গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, গত ২০০০ সালে এই বাজারের বিষয়ে রাজ্যের উদ্যান পালন দফতরের মন্ত্রী শৈলেন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী ২০০১ সালের ২৯ জানুয়ারি ফুলবাজারটি পরিদর্শন করেন এবং ২ এপ্রিল রাইটার্সের রোটান্ডায় রেলওয়ে দফতরের খড়্গপুরের উচ্চ আধিকারিকের উপস্থিতিতে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত মত বাজারের উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়ে সেই সময় কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও আজও এ ব্যাপারে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *