প্রকাশিত প্রাথমিক টেটের ফলাফল পাস ৬৭৫৪, নিয়োগ শীঘ্রই

রাজন্যা নিউজ ব্যুরো

প্রাথমিকের টেটের ফল প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সন্ধে ৬টা থেকেই প্রাথমিকে টেটের ফলাফল ওয়েবসাইটে তুলে দেয় পর্ষদ। পরীক্ষা হয়েছিল ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর। এটা তারই ফলাফল। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। পরীক্ষায় উপস্থিতির সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৪৭ জন। সেখানে মোট পাশ করেছে ৬৭৫৪ জন। প্রথম দশে রয়েছেন ৬৪ জন।
প্রথম স্থানাধিকারী পূর্ব বর্ধমানের ইনা সিংহ, যার প্রাপ্ত নম্বর ১২৫। দ্বিতীয় মুর্শিদাবাদের কাজল কুটি, প্রাপ্ত নম্বর ১১৬। তৃতীয় হয়েছেন দু’জন। একজন বাঁকুড়ার সৌমিক মণ্ডল, অন্যজন উত্তর ২৪ পরগনার স্বর্ণেন্দু ভর। এঁদের প্রাপ্ত নম্বর ১১৫। চতুর্থ হয়েছেন চারজন। এঁদের সকলের প্রাপ্ত নম্বর ১১৪। পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে নয়জন। এঁদের সকলের প্রাপ্ত নম্বর ১১২।
ষষ্ঠ হয়েছেন সাত জন। এঁদের সকলের প্রাপ্ত নম্বর ১১১। সপ্তম হয়েছেন পাঁচজন। এঁদের সকলের প্রাপ্ত নম্বর ১১০। অষ্টম হয়েছেন ১১ জন এভাবে সকলের প্রাপ্ত নম্বর ১০৯। নবম স্থান অধিকার করেছেন, ১০ জন এর আগে সকলের প্রাপ্ত নম্বর ১০৮। দশম স্থান অধিকার করেছেন ১৪ জন। সকলের প্রাপ্ত নম্বর ১০৭।
ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, টেটের ফল প্রকাশ হলেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মূলত ওবিসি জটিলতার কারণেই টেটের ফল প্রকাশ করতে পারছিল না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার সেই ফল প্রকাশ হতে চলেছে। সূত্র মারফত খবর, টেটের ফলপ্রকাশের পর পরই রাজ্য জুড়ে প্রাথমিক ßুñলগুলিতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। ইতিমধ্যেই শূন্য পদের জন্য রাজ্যের অর্থ দফতরের কাছে ফাইল পাঠানো হয়েছে চূড়ান্ত অনুমোদন চেয়ে।
সম্প্রতি টেট নিয়ে এক বিশেষ নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। জানানো হয়, শিক্ষকতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য টেট উত্তীর্ণ হতেই হবে। শুধু তা-ই নয় পদোন্নতির জন্যও টেট উত্তীর্ণ হওয়াটা বাধ্যতামূলক। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে জেলায় জেলায় কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য চেয়ে পাঠায় পর্ষদ। টেটের ফলপ্রকাশের পর পরই রাজ্য জুড়ে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হতে পারে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘ওবিসির সংরক্ষণের জটের জন্য এতদিন ফল বের হচ্ছিল না। ওবিসি জট প্রাথমিকভাবে কেটেছে। ফল বের হল। এরপর শিক্ষা দফতর থেকে শূন্যপদ দিলে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
গৌতম পাল আগেই জানিয়েছিলেন, ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি না হলে ২০২৩ সালের ফলপ্রকাশ সম্ভব নয়। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, ২০১৭ সালের টেটে ২৩টি প্রশ্ন এবং ২০২২ সালের টেটে ২৪টি প্রশ্ন ভুল ছিল। তা নিয়ে আদালতে মামলা হয়। বিশেষজ্ঞ কমিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেয় আদালতে। ২০২৩ সালের প্রশ্ন নিয়েও মামলা হয়। সেই কারণেই পর্ষদ আইনি পরামর্শ নেয়। মামলা ও জটিলতার কারণে ২০২৪ সালের টেট পরীক্ষাও বাতিল হয়ে যায়। ফলে একাধিক ব্যাচের চাকরিপ্রার্থীরা হতাশায় ভুগছিলেন। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ফল প্রকাশ হওয়ায় এবার আশার আলো দেখছেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের একটাই দাবি, দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *