জলপাইগুড়ি আদালতে দুই ব্যক্তির কুড়ি ও দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

কল্যাণ অধিকারী ও ব্যুরো রিপোর্ট

প্রায় ৯ বছর আগের এক অভিশপ্ত দিন। প্রতিবেশী নিখিলের ছোড়া তিরে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিশ্বজিৎ রায় নামে এক ব্যক্তির। আহত হয় গণেশ রায় নামে আরও এক জন। লিখিত অভিযোগ পেয়ে ধূপগুড়ি থানা তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করে নিখিল রায়কে। দীর্ঘ এই মামলায় বিশ্বজিৎকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করেছেন বিচারক। অনাদায়ে আরও ছ’মাসের জেল। এই রায় ঘোষনা হতেই নিহতের ভাই বলেন, দির্ঘ ৯বছর পর দাদা বিচার পেল।

অন্যদিকে মেয়ের বান্ধবীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০ বছরের কারাদণ্ড শুনিয়েছে জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত। ন্যক্কারজনক ওই ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছর ৪ অক্টোবর জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে। নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটায় অভিযুক্ত। এমনকি অভিযুক্তের নিজের নাবালিকা কন্যা আছে বাড়িতে। মেয়ের এক নাবালিকা বান্ধবী বিভিন্ন সময় ওই বাড়িতে যেত বলে খবর। সেই সূত্রে ওই নাবালিকার সঙ্গে ব্যক্তির পরিচয়ও ছিল। গত বছর ৪ অক্টোবর নাবালিকাকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে নিজেদের বাড়িতে ডেকেছিল ওই ব্যক্তি। বিশ্বাস করে নাবালিকা ওই বাড়িতে যায়। সেইসময় বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগে ওই ব্যক্তি নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কাউকে কিছু বললে ফল খারাপ হবে বলে হুমকিও দিয়েছিল। ভীত-সন্ত্রস্ত নাবালিকার সুযোগ নিয়ে তাঁকে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে ওই নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত নির্যাতিতা বাড়িতে ঘটনার কথা জানায়। পরিবারের লোকজন কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

এদিন বিচারক দোষীকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত দু’মাস কারাদণ্ড। নাবালিকার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের জন্য বিচারক ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জলপাইগুড়ি পকসো আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দও জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *