শুভেন্দুর পাড়ায় সভা থেকে ভুরি ভুরি অভিযোগ করে শেষ দেখার হুঙ্কার ছুড়লেন অভিষেক

কল্যাণ অধিকারী

কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজ মাঠ থেকে কয়েকশো মিটার দূরে গৃহকর্তা প্রবীণ রাজনীতিক শিশির অধিকারীর বাড়ি। মঞ্চ থেকে বাংলার যুবরাজ তাঁকে বয়স্ক বলে সম্বোধন করলেন। তার পরের শব্দটি ছিল কটাক্ষের! তিনি বলেন, উনি বয়জেষ্ঠ্য মানুষ সম্মান করি, কিন্তু তাঁর কাজের জন্য না। বক্তব্যের অধিকাংশ জুড়ে নিশানা করলেন তাঁর মেজ ছেলে শুভেন্দু অধিকারীকে।

কাঁথির মঞ্চে দীর্ঘ বক্তব্যের সমস্তটা জুড়ে প্রশাসক অভিষেককে দেখল লাখো জনতা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষদের কাছের হয়ে ওঠার সমস্তটা দেখা গেছে বক্তব্যে। কাঁথি পৌঁছানোর আগে গিয়েছিলেন মহিশদা। সেখানে বাসিন্দাদের মুখে বাড়ি ও পানীয়জল না পাওয়ার কথা শুনে এসেছেন। মঞ্চ থেকেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রধান, উপপ্রধান এবং অঞ্চল সভাপতির ইস্তফা চাইলেন। এর পাশাপাশি কাদের পঞ্চায়েত টিকিট দেওয়া হবে তাও জানিয়ে দিলেন। তিনি বলেন, ‘কোন দাদা-দিদি নয় মানুষ যাদের সার্টিফিকেট দেবে তাঁরাই টিকিট পাবেন’। তবে বক্তব্যের আগাগোড়া আক্রমণ শানালেন শুভেন্দুকে। এদিন অভিষেক বলেন, ‘সকাল থেকে রাত অবধি অভিষেক অভিষেক অভিষেক করে যায়। দেখুন কেমন ফুটেজ খেতে ডায়মন্ডহারবার গেছে। দিল্লির নেতাদের কাছে নম্বর বাড়াতেও আমার নাম নিতে হচ্ছে। উনি এখন আর ক্ষুদিরাম বসু, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নাম নেয় না। এখন যোগি জি, অমিত জি বলে বেড়ান।

উনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন যোগি জি, আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন বেগম, খালা, মমতা। আপনি আমাকে আক্রমণ করছেন করুন, পরিবারকে আক্রমণ শানাচ্ছ, আমার ছোট ছেলেকেও আক্রমণ করছে। আমি জানতে চাই কীভাবে একজনকে ১৮০ কোটি টাকার ট্রেন্ডার দেওয়া হবে! কেন একজন সরকারি চাকরি জীবি কোটি কোটি টাকা জমাবে। এরপরেই এক এক করে নাম প্রকাশ করেন। অভিযোগের সুরে বলেন, ‘এক বিচারিপতি বলছেন তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত নয়। আমি ছাড়ার পাত্র নয়। সুপ্রিম কোর্ট যাব। শেষ দেখে তবে ছাড়ব। সব তথ্য আমার কাছে রয়েছে। কাউকে রেয়াত নয়’। এরপরেই বলেন, কাঁথির বাড়ির সামনে গোলাপ ফুল নিয়ে যাওয়া যাবে না। মাইক বাজানো যাবে না। এবার ২০ মিটারের মধ্যে সভা করব হুঙ্কার ছোড়েন অভিষেক।

ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *