শীতের আমেজের মধ্যেই দুর্ঘটনা বাড়ছে গ্রামীণ হাওড়ায় নজরদারি বাড়ুক চাইছে মানুষজন

রাজন্যা নিউজ ব্যুরো

সকাল-সন্ধে শীতের আমেজ, হালকা কুয়াশায় মুখ ঢাকছে গ্রামীণ এলাকা। সেই সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার দিনভর একাধিক দুর্ঘটনায় আহত হলেন ৯ জন।

এদিন সকালে ১৬নম্বর জাতীয় সড়কে নিবড়ার কাছে দুটি বাইকের সংঘর্ষে আহত হন ৩জন। নিবড়া থানা সূত্রে খবর কোলাঘাটের দিকে যাওয়ার পথে মুখোমুখি দুটি বাইকের সংঘর্ষ ঘটে। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে। অন্যদিকে শ্যামপুর-২ নং ব্লকের দেওড়া এলাকায় লরির ধাক্কায় কোনক্রমে প্রাণে বাঁচলেন চালক। জানা গেছে, বাইক থেকে নেমে দোকানে ঢুকবার লরির ধাক্কায় ছিটকে যায় বাইক। বাইক চালক বাইক থেকে নামা মাত্র দুর্ঘটনা ঘটায় কোনক্রমে রক্ষা পায় চালক। তবে, লরির ধাক্কায় বাইকটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

অন্যদিকে উলুবেড়িয়া-দশনম্বর সড়কে পাত্রপোলের কাছে ইঞ্জিনভ্যানের সঙ্গে বাইকের দুর্ঘটনায় আহত হন দু’জন। চন্দ্রপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, বাইকটি দশনম্বর থেকে উলুবেড়িয়া যাচ্ছিল। পাত্রপোলের কাছে ইঞ্জিন ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। আহত দু’জনকে আমতা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য। এদিন হাওড়া-আমতা রোডে একাধিক দুর্ঘটনায় আহত হন তিনজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাওড়া-আমতা রোডে বড়গাছিয়ায় বাইকের সঙ্গে সাইকেলের ধাক্কায় আহত হন এক মহিলা। তাঁকে জগতবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে মুন্সিরহাটে বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে গাছে ধাক্কা মারলে বাইক চালক ও আরোহি মহিলা আহত হন। একজনকে পিজিতে স্থানান্তরিত করা হয়। মহিলার চিকিৎসা চলছে জগতবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। মাজু বাজারে অপর একটি দুর্ঘটনায় আহত হন এক মহিলা। জানা গেছে, রাত আটটা নাগাদ হেঁটে যাবার সময় পিছন থেকে বাইকে ধাক্কা মারলে গুরুতর আহত হন ওই মহিলা। তাঁকে জগতবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।

গ্রামীণ পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন থানা এলাকায় পথ নিরাপত্তার জন্য প্রচার ও জনসংযোগ চলছে। জাতীয় সড়কে পেট্রোলিং চালানো হচ্ছে। কুয়াশাজনিত সমস্যা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে।’ স্থানীয়দের কথায়, সিভিকদের দিয়ে নয় পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। তবেই কমবে দুর্ঘটনা।
সামনের দিনে বাড়বে কুয়াশার দাপট। কমবে দৃশ্যমান্যতা। দুর্ঘটনা রোধ করতে নজরদারির পাশপাশি চাই সচেতনাও তবেই কমবে দুর্ঘটনা, মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।