আমতায় অভিনেতা দেবের সভায় জনজোয়ার
কল্যাণ অধিকারী
একুশের নির্বাচন হোক গরীব মানুষদের ভালো রাখার নির্বাচন। মন্দির বা মসজিদ বানানোর জন্য নয়। জয়পুর থানার রাউতারা ফুটবল মাঠে জনসভায় এসে বললেন টলিউডের জনপ্রিয়তম নায়ক তথা তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব।
সিনেমার নায়ক এলাকায় আসছে। বুধবার আমতায় কপ্টার পৌঁছানোর আধঘণ্টা আগে থেকেই আমতা স্পোটিং মাঠে জনতার ঢল। তৃণমূল কর্মীদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ঘড়ির কাঁটা সওয়া বারোটার কিছু পরেই আমতার আকাশে চক্কর দিতে শুরু করে দেবের কপ্টার। মাঠে তখন তুমুল চিৎকার দেব আর দেব। কয়েক মুহূর্তে আমতা স্পোটিং মাঠে ছোঁয় হেলিকপ্টার। ডেনিম জিন্স ও কালো এবং ক্রিম ব্লু রঙের গেঞ্জি পরে কপ্টার থেকে নেমে আসেন দেব। মাঠ জুড়ে আগত মানুষদের হাত জোড় করে প্রণাম জানান। এরপর উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী নির্মল মাজির সঙ্গে রোড শোয়ে বেরিয়ে পড়েন। হুড খোলা গাড়ীতে চেপে আমতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এগিয়ে যেতে থাকে তাঁর র্যালি। রাস্তার হাজারও কর্মী সমর্থকের ভিড়ে যান চলাচল বন্ধ আগেই হয়ে গিয়েছে। যেদিকে তাকানো যায় শুধুই মাথা। দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানায় তারকা সাংসদকে। আমতায় প্রায় চার কিমি রোড শো করেই হেলিকপ্টারে করে ১০কিমি দূরে রাউতারা ফুটবল মাঠে পৌঁছে যান তিনি।
ফুটবল মাঠে তখন তিল ধারণের জায়গা নেই। কপ্টার থেকে নামতেই করমর্দন করেন আমতা বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী সুকান্ত পাল। হাজার হাজার মানুষের দিকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপরেই মঞ্চে ওঠেন। বিশাল মালা পড়িয়ে আপন করে নেন প্রার্থী সুকান্ত পাল সহ তৃণমূল কার্যকর্তারা। তারপর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি যে অনেক পরিণত তাঁর বক্তব্যে বারেবারে ফুটে ওঠে। তিনি বলেন, ” একুশের বিধানসভা ফলাফল আসলে কেউ হয়তো মন্দির গড়বে কেউ বা মসজিদ করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন এই নির্বাচন টা রামমন্দির করার জন্য নয়। এই নির্বাচন মসজিদ করার জন্য নয়। এই বিধানসভা নির্বাচন হোক গরীব মানুষের জন্য নির্বাচন। গরীব মানুষকে ভালো রাখার নির্বাচন। তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিশ্রম করে মানুষের পাশে রয়েছেন আপনাদের সুরক্ষা দিচ্ছেন। আপনারা দুহাত উজাড় করে ভোট দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত মজবুত করা। মনে আছে আপনাদের লকডাউনের সময় রাস্তায় নেমে মানুষের জন্য কত কাজ করেছেন। বাইরে আটকে পড়া শ্রমিকরা যখন ফিরতে পারছেন না। আমি নিজে সেই সময় বাইরে থাকা নেপালে থাকা মানুষদের ফিরিয়ে আনার জন্য ফন করে দিদিকে বলেছি। দিদি সমস্ত ব্যবস্থা করেছেন।
এরপরেই তিনি বলেন, মানুষের জন্য ভোট হোক। মন্দির বা মসজিদের জন্য নয়। এদিনের র্যালি ও জনসভায় দেবকে দেখতে উপচে পড়া ভিড়। রাউতড়া মাঠে এতটাই ভিড় ছিল একটা সময় বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে পড়ার জোগাড় হয়। পুলিশের ব্যবস্থাপনায় কোনক্রমে সামাল দেওয়া হয়।