এনজেপি থেকে দার্জিলিংয়ের পথে চারমাস পর ছুটল টয় ট্রেন, সময়সূচি, ভাড়া এবং কীভাবে টিকিট বুকিং করবেন জানুন
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
কু ঝিকিঝিক শব্দে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ ধরে যাত্রা শুরু হল। দীর্ঘ চার মাস পর এনজেপি থেকে দার্জিলিং টয় ট্রেনের চাকা গড়াল। এনজেপি থেকে রবিবার সকালে ৩৫ জন যাত্রীকে নিয়ে দার্জিলিঙ পৌঁছায়। পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী টয় ট্রেন শীতের শুরুতে চালু হওয়ায় খুশি ফুটেছে পর্যটকদের মুখে।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং প্রায় ৮৮ কিমি পথ। এনজেপি ছেড়ে শিলিগুড়ি, কার্সিয়াং এবং ঘুম হয়ে পৌঁছায় দার্জিলিং।এই রুটে হিল কার্ট রোড, বাতাসিয়া লুপ-সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের উপর দিয়ে যায় টয় ট্রেনটি। এনজেপি থেকে দার্জিলিং রুটে টয় ট্রেন পরিষেবার চাহিদা সবসময় বেশি। কিন্তু এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ধসে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় রাস্তা। পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চার মাস পর টয় ট্রেন চলাচলে ছাড়পত্র মেলে। সবুজ পতাকা নেড়ে যাত্রার সূচনা করেন কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দর কুমার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য আধিকারিকরা। পাহাড়ে বেড়াতে আসা দেশ-বিদেশের পর্যটকরা টয় ট্রেন যাত্রার আনন্দ উপভোগ করতে শুরু করলেন।
কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘প্রকৃতির কাছে হার মানতে হয় সকলকে। তাই ইচ্ছা থাকলেও টয়ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের অনেকটা সময় বন্ধ ছিল পরিষেবা। আর শীতের মরসুমে পরিষেবা চালু করে দিতে পেরে আমরা খুশি।’’ তিনি জানান, বহু জায়গায় ভূমিধসের কারণে ক্ষতি হয়েছে। বস্তুত, এ বার ক্ষতির পরিমাণও বেশি ছিল। সেগুলো মেরামত করে একাধিক বার পরীক্ষামূলক ভাবে টয় ট্রেন চালানো হয়েছে। রবিবার থেকে পাকাপাকি ভাবে টয় ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
সূত্রের খবর, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের অধীনে দার্জিলিঙের টয় ট্রেন চলে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে মরশুমের সময় প্রতিদিন ২০টি টয় ট্রেন পরিষেবা পাওয়া যায়। এছাড়াও দার্জিলিং ও ঘুম রুটের মধ্যে ১৮টি পরিষেবা রয়েছে। ডিজেল চালিত ও বাষ্প চালিত এই দু-ধরনের ট্রেন রয়েছে। ডিজেল চালিত টয় ট্রেনের জনপিছু ভাড়া ১০০০ টাকা। এবং বাষ্প চালিত টয় ট্রেনের জনপিছু ভাড়া ১৬০০ টাকা। ভারতীয় রেলের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে টয় ট্রেনের টিকিট বুকিং করা যায়।