দিঘায় জঙ্গি গ্রেফতার হতেই পছন্দের ভ্রমণ স্থানের নিরাপত্তা নিয়েই চিন্তায় অনেকে
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
দিঘায় গা ঢাকা দিয়ে থাকা দুই জঙ্গি গ্রেফতার হতেই সৈকত নগরীর নিরাপত্তা নিয়ে পর্যটকদের মধ্যেই একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দেশের সেরা তদন্তকারী আধিকারিকদের নজর এড়িয়ে কীভাবে দুই জঙ্গি পৌঁছে গেল দীঘায়? দুষ্কৃতিরা তবে কি সেফ জোন করে ফেলছে বঙ্গের সমুদ্র শহরকে এখন এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পুলিশ কর্তাদেরকেও।
ভ্রমণ প্রিয় বাঙালি হাতে দু’দিন সময় পেলেই বেড়িয়ে পরেন। অল্প জামাকাপড় ব্যাগে ভরে ট্রেন ধরে নেন। তারপর কয়েক ঘন্টায় পৌঁছে যান দিঘা। ওল্ড ও নিউ দিঘায় বাজেট ফ্রেন্ডলি হোটেলের ছড়াছড়ি। ৪০০-৫০০ টাকায় মিলে যায় রুম। ৫০ টাকায় পেট ভরা মাছ-ভাত মিলে যায়। মাথাপিছু ২০টাকা টোটো ভাড়া দিয়ে ঘুরে দেখে নেওয়া যায় মোহনা মৎস কেন্দ্র। ইচ্ছে করলে পরিবারের সকলকে নিয়ে সায়েন্স সিটির তিনটি গ্যালারি, থ্রিডি শো, কয়েকটি প্রদর্শনী ও একটি বিজ্ঞান পার্ক ঘুরে দেখে নেওয়া যায়। রয়েছে ঢেউসাগর ইকো পার্ক ইত্যাদি।
বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে অন্যতম মূল দুই অভিযুক্ত মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আবদুল মাথিন তাহাকে শুক্রবার দিঘার হোটেল থেকে গ্রেফতার হতেই দিঘা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগছে। অনেকেই মানছেন হোটেল ব্যবসায়ীদের একাংশ পর্যটকদের তথ্য সঠিকভাবে যাচাই না করেই রুম দিয়ে দিচ্ছেন। আরো অভিযোগ পুলিশের নজরদারি পর্যাপ্ত নয়। এমনটা হওয়ায় পর্যটকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বলেই মত অনেকের। কেউ কেউ বলছেন ভিন রাজ্যের ট্রেন দিঘায় আসছে। জঙ্গিদের ক্ষেত্রে সেই সমস্ত ট্রেন ধরে দিঘায় পৌঁছে যেতে সুবিধা হচ্ছে! ভিন রাজ্যের ট্রেনে রেল পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর দাবিও তুলছেন।
প্রশাসনের একটি সুত্র বলছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ রাজ্য পুলিশের কাছে আবেদন জানাতেই দ্রুততার সঙ্গে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছে একশন নিতে তৎপর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। আগামীদিনে দিঘায় আসা প্রত্যেক পর্যটকের তথ্য সঠিকভাবে যাচাইয়ের পর ঘর মিলবে এমনটাই হোটেল ব্যবসায়ীদের জানানো হচ্ছে। অন্যদিকে হোটেল ব্যবসায়ীদের একাংশের যুক্তি অফ টাইমে বহু হোটেল খালি থাকে। অনেকেই বাধ্য হন আগত পর্যটকদের রুম দিতে। তবে ডকুমেন্ট ছাড়া কাউকেই রুম দেওয়া হয় না।