সাগরে অসুস্থ ২জনের প্রাণ বাঁচাতে হাওড়ায় নিয়ে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

কল্যণ অধিকারী গঙ্গাসাগর

হাইলাইটস
❏ ৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন
❏ ১৪ লাখের বেশি তীর্থযাত্রী ইতিমধ্যে ‘ই-দর্শন’ করেছেন
❏ লট-৮ জেটি থেকে কপিলমুনি আশ্রম সর্বত্র স্যানিটাইজেশনের কাজ চলেছে

পুর্ণ তিথিতে আদৌ কি সাগরে ডুবকি দিতে পারবেন ভক্তকূল আপাতত বিচার্য প্রক্রিয়ায়। তবে ইতিমধ্যে ২ লক্ষাধিক মানুষ সাগরে এসেছেন। নিশ্চিত ডুবকি দিয়েছেন তাঁরা। সমস্ত প্রক্রিয়া সুস্থ ভাবে চলছে। এবং কোভিড প্রোটকল মেনে হচ্ছে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস কে পাশে বসিয়ে জানালেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

করোনা কতটা প্রভাব ফেলবে গঙ্গাসাগর মেলায় এই প্রশ্নে জেরবার প্রশাসন। মেলা শুরুর পর পুর্ণ স্নানের আগে কিছুটা হলেও প্রশাসনের চিন্তা বাড়াল। জানা গেছে ৫ জন করোনা আক্রান্ত হবার তথ্য জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে সামনে এসেছে। জানা গেছে ১৪,৮১০ জনের এন্টিজেন টেস্ট করিয়ে ৫জনের রিপোর্ট পজিটিভ মিলেছে। করোনার কথা মাথায় রেখে প্রশাসন একাধিক ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। ৭ টি কোভিড হাসপাতাল। ৮ টি সেফ হোম। ১১ টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এছাড়াও ৫ টি আইসোলেশন সেন্টারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ১০০ টি এ্যাম্বুলেন্স কোভিড আক্রান্তদের জন্য রাখা হয়েছে। ৩টি ওয়াটার এ্যাম্বুলেন্স এবং ২ টি এয়ার এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাগরে অসুস্থ হয়ে পড়া ২জনকে প্রাণ বাঁচাতে হাওড়ায় নিয়ে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।

মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ছিলেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। এছাড়া ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসক পি উলগানাথন, ডি.আই.সি.ও লিপিকা ব্যানার্জী ছিলেন। সুব্রত বাবু জানান, মেলা শুরু না হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা শুরু হয়ে গেছে। আর ‘ই-স্নানের’ ব্যবস্থার জন্য প্রতিটি কিয়স্কে থাকছে গঙ্গাজল। কপিলমুনি আশ্রমে পুজো দেওয়া প্রসাদ, সিঁদুরের কৌটো ক্যুরিয়েরের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। মাত্র দেড়শো টাকা ডেলিভারি চার্জ লাগছে। প্রায় ১৪ লাখের বেশি তীর্থযাত্রীরা ইতিমধ্যে ‘ই-দর্শন’ করেছেন। যার জেরে এবারের সাগর মেলায় তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা খুবই নগণ্য।

তিনি আরও বলেন, দেড় লক্ষ তীর্থযাত্রীকে থার্মাল চেকিং করা হয়েছে। পাঁচজন ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে জেলা প্রশাসন সূত্রে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদিচ্ছায় ও বিরূপ প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে আজকের এই মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তিন এও বলেন ভারতবর্ষের অন্য কোনও প্রান্তে এই মেলা আগে হয়নি। কোভিড প্রোটোকল মেনে ও মহামান্য আদালতের রায়ের নির্দেশে সামাজিক সুরক্ষাবিধি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হচ্ছে। লট-৮ জেটি নং ১ থেকে ভেসেলে চেপে কপিলমুনি আশ্রমের পথের দিকে রওনা দিতেই সমস্ত ভেসেলে স্যানিটাইজেশনের কাজ চলেছে। মেলায় আগত পুর্ণার্থিদের প্রত্যেককে মাস্ক পরতে এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে