বিজেপি-র হয়ে কাজের অভিযোগ, অনাস্থায় বাকি সদস্যরা, পদত্যাগপত্র জমা দিলেন প্রধান, উপপ্রধান
কল্যাণ অধিকারী
বিজেপি-র হয়ে কাজের অভিযোগ! গ্রামীণ হাওড়ার ঝিকিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ ২ জনের বিরুদ্ধে অনাস্থায় বাকি ১০ সদস্যর সায়। ক্ষোভের মুখে বিডিও’র কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন প্রধান ও উপপ্রধান। যদিও উপপ্রধানের দাবি তাঁকে দিয়ে জোরপূর্বক সই করানো হয়েছে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সর্বদা আস্থাশীল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাওড়া জেলার সীমান্ত এলাকায় ঝিকিরা গ্রাম পঞ্চায়েতে সদস্য সংখ্যা ১২। প্রধান বিশ্বজিৎ পন্ডিত ও উপপ্রধান মহাদেব সাঁতরা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন দলের হয়ে না কাজ করে বিজেপি-র হয়ে কাজ করেছেন। ভোট মেটার পর থেকেই সভাপতি প্রদীপ দাস সহ বাকি সদস্যরা অনাস্থা আনার পক্ষে সায় দেয়। বুধবার ১২ সদস্যের মধ্যে ১০ সদস্য একত্রিত হয়ে অনাস্থায় মত দেন। এরপরেই প্রধান, উপপ্রধান বিডিওর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে জানা গেছে।
সভাপতি প্রদীপ দাস বলেন, “অনেকদিন ধরেই ওঁদের কাজকর্ম ছিল দলবিরোধী। তার বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের বাকি সদস্যরা সায় দিয়েছে। প্রধান, উপপ্রধান পদত্যাগপত্র বিডিওর কাছে জমা দিয়েছেন। এবার বিডিও কি সিদ্ধান্ত নেন সে দিকেই আমরা তাকিয়ে। আমরা চাই পঞ্চায়েতের সকল সদস্য দলের অনুগামী হয়ে কাজ করুক। কেউ দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে তাঁকে রেয়াত করা হবে না। এক্ষেত্রে সকলে মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
যদিও দলবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহাদেব সাঁতরা। তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ ভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমাকে ভয় দেখিয়ে সই করানো হয়েছে। বিভিন্ন ঠিকাকর্মীর কাছ থেকে অঞ্চল সভাপতি প্রদীপ দাস ঘুষ নেন। তার প্রতিবাদ করেছিলাম। তাছাড়া উনি হাওড়ায় থাকেন। একবার করে মাঝেমধ্যে আসেন। পঞ্চায়েতে সময় দেন না। তাই ওঁরা আমাকে সরাতে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখাচ্ছে। কাগজে সই করিয়ে নিয়েছে। আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। ওঁনার আদর্শে চলব।” তবে প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আমতা-২ ব্লক সূত্রে জানা গেছে, বিডিওর কাছে ওঁনাদের পদত্যাগপত্র জমা পড়েছে। নতুন প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী করা হবে। ততদিন পর্যন্ত পঞ্চায়েতের কাজকর্ম আধিকারিকরা দেখবেন।
