ঘাটালে পুজোর আগেই ১১টি পিচ রাস্তার মেরামতির বরাদ্দ
কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ
এ বছর একাধিকবার বন্যার সম্মুখীন হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল। যার জেরে ১২৪ কিমি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে পিচ রাস্তা ও ভালো রাস্তা। রাস্তা সারানোর জন্য প্রয়োজন প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। পুজোর আগে খুশির কথা শুনিয়েছেন ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি বিকাশ কর। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির পক্ষ থেকে ২ কোটি টাকা টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এতে করে এলাকার ১১টি পিচ রাস্তার মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।
জুন মাস থেকে ক্লান্তিহীন বর্ষায় প্রায় প্রতিদিনই ফুলেফেঁপে উঠছে শিলাবতী, কংসাবতী, ঝুমি, রূপনারায়ণ নদী। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ঘাটাল মহকুমার সংশ্লিষ্ট সব দফতরের আধিকারিক, পাঁচ বিডিও, ঘাটালের মহকুমা শাসক-সহ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদেরী। একাধিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। প্রশাসন সূত্রের খবর, ঘাটাল শহরের ১২টি ওয়ার্ড পুরোপুরি জলের তলায় ছিল। শহরে অধিকাংশ একতলা বাড়ি বন্যার জলে ডুবে গিয়েছে। পুরসভার নিচু এলাকা গুলিতে আবার দোতলা সমান জল ছিল। ঘাটাল ব্লকের অজবনগর ১ ও ২, দেওয়ানচক ১ ও ২, মোহনপুর, বীরসিংহ, মনসুকা ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অবস্থাও ছিল খারাপ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ, পানীয় জলের মতো হাহাকার ছিল নৌকার।
ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ঘাটালে বন্যায় ভেঙে যাওয়া রাস্তার ১১ টির কাজ শুরু হচ্ছে। যারমধ্যে রয়েছে, নতক থেকে ডিঙ্গাল বরাদ্দ সাড়ে ৭লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা। মসরপুর থেকে হেমন্তপুর বরাদ্দ ৭লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা, ঘোলসাই থেকে রাধাবল্লভপুর ৯ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা, নিশ্চিন্দীপুর থেকে কুশমান বরাদ্দ ৬ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। খড়ার থেকে গঙ্গাপ্রসাদ ১৩ লক্ষ ২৩ হাজার, যদুপুর থেকে শ্যামচক বরাদ্দ ১০ লক্ষ ৫৭ হাজার, রত্নেশ্বরবাটি থেকে শ্রীরামপুর প্রায় ২৫ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা। গোপমহল থেকে হরিশপুর ২৭ লক্ষ ৬২ হাজার, রত্নেশ্বরবাটি থেকে শ্যামসুন্দরপুর ২৫ লক্ষ ৫২ হাজার, মহারাজপুর থেকে কনকপুর ৩০ লক্ষ ৪৭ হাজার, হাজরাজোল থেকে মিশ্রপাড়া বরাদ্দ ৩০ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।
বিকাশ কর জানান, ঘাটাল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে আসছেন সেচমন্ত্রী। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে রিভিউ মিটিং হবে। সেখানে আমাদের সমস্যার কথা বলব। সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে ৭টি জায়গায় ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। বন্যার জল নেমে গেলে, আরও কিছু কাজ শুরু হবে। প্রশাসন মানুষের পাশে আছে। আশাকরি পুজোর আগে ঘাটালের অনেকটাই বদলাতে পারব।