বাজেটে শিকে ছিঁড়ল না আমতা-বাগনান রেল প্রকল্পে
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
বাজেটে প্রত্যাশা ছিল আমতা-বাগনান রেল প্রকল্পের কথা বলবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রায় দেড় দশক হতে চলল আমতা-বাগনানের মধ্যে সংযোগকারী রেললাইন তৈরির কাজ থমকে রয়েছে। মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশে এই প্রকল্প নিয়ে মুখ খুললেন না নির্মলা! একদিন আগে সংসদে বাগনান-শ্যামপুর রেলপথ নিয়ে সরব হয়েছেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। কিন্তু আমতা-বাগনান নিয়ে কিছু না বলায় বিস্মৃত হয়েছে আমতাবাসী! ২০২৪-এর বাজেটেও দুয়োরানি হয়েই রয়ে গেল আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প।
অনুপ দাস, শৈবাল করাতি, মনোজ দিগে সহ স্থানীয়দের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আমতা-বাগনান রেল যোগাযোগের জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর দলের উলুবেড়িয়ার সাংসদ আমতা-বাগনান রেল পথের জন্য সংসদে সরব না হয়ে বাগনান-শ্যামপুর রেলপথের জন্য সরব হচ্ছেন। শ্যামপুর গাদিয়ারা লাইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু গুরুত্ব বেশি আমতা-বাগনান সংযোগের। একি সঙ্গে আমতা-হাওড়া শাখায় মাজু ও ডাসি স্টেশনে ক্রসিং প্রয়োজন। তবেই গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া উত্তর ও আমতা বিধানসভার হাজার-হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন। বাগনান অবধি ১৬ কিলোমিটার রেলপথ তৈরির কাজ কবে শেষ হবে? আদপেই কী হবে নাকি প্রস্তাব ঠান্ডাঘরে পড়ে থাকবে প্রশ্ন মানুষজনের।
আমতা-বাগনান রেললাইন প্রকল্পটির চেষ্টা হয়েছিল ২০০৯-১০ অর্থ বর্ষে। জেলার অন্যতম ব্যস্ত দুই জনপদ রেলের মাধ্যমে যুক্ত হলে নতুন দিগন্ত খুলে যেত। দক্ষিণ-পূর্ব রেল আন্দুল ও বাগনানের মধ্যে পেত নতুন একটি লাইন। মাত্র ১৬ কিমি দৈর্ঘ্যের রেলপথ প্রায় দেড় দশকেও পাতা হল না। এই প্রকল্পের শিলান্যাস করতে আমতা স্টেশনের পাশে সভামঞ্চে এসেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রস্তাবিত রেলপথের জন্য বাগনান মহিষরেখার কাছে দামোদর নদের উপর আটটি স্তম্ভ হয়ে পরে রয়েছে। তারপর আর কাজ এগোয়নি। আমতা স্টেশনের কাছে ফলকটির অক্ষর রোদে-জলে উঠে গিয়েছে। এত বছর পরেও দুয়োরানির দশা কাটল না হাওড়া-খড়্গপুর বিভাগের আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প।
রেলের একটি সূত্র বলছে, প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়নি। আগামীদিনে আমতা-বাগনান প্রকল্পের কাজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সবটাই নির্ভর করছে রেল মন্ত্রকের উপর।