দুর্গা-লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক শুকবে তো চিন্তায় গ্রামীণ এলাকার শিল্পীরা

কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ

দামোদর নদে জল নেই। কিন্তু মাঝেমধ্যেই মেঘ ঘনিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে মহালয়াও বেশি দেরি নেই। তার আগে দুর্গা, লক্ষ্মী সরস্বতীকে শুকনো করাটাই চ্যালেঞ্জ প্রতিমা শিল্পীদের। উদয়নারায়ণপুর, শিংটি, ভবানীপুর, আমতা সর্বত্র একি চিত্র।

ফি বছর বন্যায় সর্বস্ব নিয়ে যায় দামোদর। পুজোর বেদি ডুবে যায়। কোনরকমে পুজো হয়। কিন্তু এ বছর বর্ষায় সেইভাবে বৃষ্টি হয়নি। খটখটে দামোদরের কোল দিয়ে কোনক্রমে জল বয়ে চলেছে। তবে শরতের শুরুতেই আকাশে মাঝেমধ্যে মেঘে ঘনিয়ে আসছে। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির জেরে কার্তিক-গণেশ, মহিষাসুরের ভেজা গা শুকনো করে চুনের প্রলেপ টানা নিয়েই চিন্তায় শিল্পীরা।

উদয়নারায়ণপুর থানার শিবানীপুর, জঙ্গলপাড়া, সুলতানপুর, পাঁচারুল সর্বত্র দুর্গা প্রতিমা গড়ার কাজ চলছে। বাঁশের উপর ত্রিপল ছেয়ে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, মহিষাসুরের গায়ে মাটির শেষ টান দেওয়ার কাজ চলছে। শিল্পী অমল রীত জানান, “এখনো দামোদর শুকনো হলেও পুজোর সময় চিন্তা বেশি। ক’দিনের একটানা বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে ডুবে যায় এলাকা। কোনক্রমে পুজো হয়। তবে সেসব না ভেবে সময়ে প্রতিমা সম্পূর্ণ করাটাই চ্যালেঞ্জ।

প্রতিমা শিল্পীদের চিন্তার মাঝে আশার আলো দেখাতে পারেন আবহাওয়া দপ্তর। তাঁদের দিকে তাকিয়ে সকলে। তবে এরমধ্যেই খুশির মহল ব্যবসায়ী মহলে। লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ সমেত মা আসছেন বাপের বাড়িতে। পুজোর কেনাকাটা শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবাসরীয় জমজমাট ভিড় উদয়নারায়ণপুর বাজার, আমতা, বাগনানে। ছাতা নিয়েই কেনাকাটা করতে দেখা গেল সাধারণ মানুষজনকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *