শিক্ষক মৃত্যু নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্য, বারুইপুর জেলা পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে
কল্যাণ অধিকারী
কুলতলির বাসিন্দা প্রণব প্রতিম নাইয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় মঙ্গলবার সকালে। পেশায় তিনি ছিলেন স্কুলের শিক্ষক। দুপুরের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া মৃত শিক্ষককে ২০১৬ সালের চাকরিহারা শিক্ষকদের একজন বলে দাবি করে হ্যাজট্যাগ দেওয়া শুরু হয়ে যায়। বিষয়টির গুরুত্ব আঁচ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বারুইপুর জেলা পুলিশ।ভুল তথ্য দেওয়ার বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানানো হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কুলতলির বাসিন্দা প্রণব প্রতিম নাইয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পেশাগতভাবে তিনি একজন শিক্ষক ছিলেন। ২০১২ সালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে, ২০১৫ সালে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার একটি স্কুলে চাকরি জীবন শুরু করেন। চাকরি ক্ষেত্রে বদলির ফলে, ২০২২ সালে তিনি জয়নগরের টি এস সনাতন স্কুলে যোগদান করেন। এবং বর্তমানেও তিনি এই স্কুলেই কর্মরত ছিলেন। তার চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এমনকি গত শনিবার অর্থাৎ ১২ই এপ্রিলও তিনি অন্যান্য দিনের মতোই স্কুলে যান। ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত রুজু করে তার মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে কিছু মানুষ এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিভিন্ন অসত্য তথ্য পোস্ট করছে। এই পোস্টে বলা হচ্ছে যে চাকরি হারানোর কারণেই নাকি এই ব্যক্তিকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়। এখনো পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যা সর্বই মিথ্যা। সমাজ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশনকারী এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন শিক্ষক সংগঠন। জানা যাচ্ছে,এ ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস। তাঁদের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি সাংবাদিকদের বলেন, প্রণব নাইয়া নামে যে শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে, তার সঙ্গে এসএসসির ২০১৬ সালের চাকরিহারাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে যেকোনও মৃত্যু দুঃখজনক।