মমতাময় বাংলা

কল্যাণ অধিকারী

লড়াই করে উঠে এসেছেন। লড়াই করেই জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন। তিনি বাংলার ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাম শাসনে ধস নামিয়েছিলেন। একুশের মহাসংগ্রামে প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিকে দুই অঙ্কের আসন সংখ্যায় আটকে রাখলেন। আর বাম-কংগ্রেস রাজ্যে খাতা খুলতেই ব্যর্থ হল।

মানুষের উজাড় করা ভোটে একুশের সাফল্য ঘরে তুলেছেন। নবান্নে আবারও তিনি। এবার আরও শক্তপোক্ত ভাবে রাজ্যকে সামলাবেন। সমস্তটা নজরে রাখবেন দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এসব নিয়ে তিনি বিন্দুমাত্র চিন্ত্রিত না। তাঁর কাছে আপন বাংলার ‘মা মাটি মানুষ’। তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মানুষ ঘাসফুল কে কাছে টেনে নিয়েছে। নেত্রীর দু হাত ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। প্রমাণিত হয়েছে বাংলার মানুষ ‘বাংলার মেয়েকেই’ চায়। শহরকেন্দ্রিক ছাড়াও নজর কেড়েছে জঙ্গলমহল। লোকসভা নির্বাচনে মুখ ফিরিয়ে নিলেও একুশের মহারণে তৃণমূল নেত্রীকে আপন করে নিয়েছে। সন্ধ্যায় কালী ঘাটে মমতার জানিয়ে দেন, “আমার জঙ্গলমহলের মা ও বোনেরা আপনাদের এই ভালবাসা আমি মাথায় তুলে রাখব।”

ভাঙা পায়ের প্লাস্টার কেটেছেন। রবিবার পায়ে হেঁটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ছাতা হাতে পাশে অভিষেকের মেয়ে আজানিয়া। মমতার পাশে চুপটি করে দাঁড়িয়ে। সাংবাদিকদের আবদারে মমতা যখন ভিকট্রি সাইন দেখাচ্ছে, পাশে দাঁড়িয়ে ছোট্ট আঙুল দিয়ে ভিকট্রি সাইন দেখিয়েছে আজানিয়াও। আট পর্বের ম্যরাথন ভোটগ্রহণ শেষে রবিবার প্রত্যাশিত ফল পেয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের একার দখলে ২১৩ টি আসন। বিজেপির দখলে ৭৭, এবং সংযুক্ত মোর্চা ১ ও অন্যান্য ১টি আসন পেয়েছে।

ভাঙা পায়ে একার হাতেই সবাইকে পিছনে ফেলে দিলেন। একি সঙ্গে দলবদলে যাওয়াদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কে প্রশ্নের মুখে এনে দিলেন তিনি। এবার ‘নবান্নে’র ১৪তলায় তৃতীয় বারের জন্য পৌঁছে গেলেন। নতুন উদ্যমে সমস্তটা শুরু করতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চিত্র সংগৃহীত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *