ত্রিপুরা পুরভোটের ফলাফলে পদ্মে কাঁটা ফোটাল তৃণমূল

কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ

মাস পাঁচেক আগেও ত্রিপুরার নিয়ে এতটা রাজনৈতিক উত্তাপ দেখা যায়নি। ২০১৮ সালে বামেদের উৎখাত করে প্রতিষ্ঠিত হয় বিজেপি সরকার। তারপর থেকে বিপ্লব দেব সরকারের সামনে সেইমতন চাপ আসেনি। কিন্তু পুরভোটের লড়াই রাজ্য ছাড়িয়ে উত্তাপ পৌঁছে দিয়েছে দিল্লিতে। রবিবার পুরভোটের ফলাফল বের হতেই ৯৯ শতাংশ আসনে জিতে গেরুয়া ঝড় বইয়ে দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু পুরভোটে প্রথমবার লড়ে তাঁদের পথে কাটা বিছিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে বিরোধী দলের তকমা পাওয়া তৃণমূল।

উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি ছোট রাজ্য ত্রিপুরা। বরাবর বামেদের প্রভাব। দীর্ঘ বাম জমানার পর গঠিত হয় বিজেপি সরকার। কিন্তু গত পাঁচ মাসে বিপ্লব দেবের উপর প্রবল চাপ বাড়িয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় অলিগলি চষে বেরিয়েছেন তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সায়নী ঘোষ, ব্রাত্য বসু, কুনাল ঘোষ, দোলা সেনরা। কয়েকবার গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরভোটে ৩৩৪ টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেয় তৃণমূল। ভোটের আগে থেকেই সন্ত্রাসের কথা আদালতে তুলে ধরে তৃণমূল। ভোট প্রচারে বাধাদান, মিথ্যা কেস দেওয়া, সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার সবটাই আদালতে জানান তাঁরা। ভোটের দিনকেও তাঁদের প্রার্থীদের উপর হামলা চালায় বিজেপি এমনটাই অভিযোগ জানানো হয়। রবিবার ফল বের হতেই শুরু থেকেই গেরুয়া ঝড়ে বিরোধীরা কার্যত লণ্ডভণ্ড। তবে প্রথমবার লড়েই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ঘাসফুল।

৬০ সদস্য বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভায় ভোট ২০২৩ সালে। ছোট বাড়ির লড়াইয়ে দ্বিতীয় হওয়া তৃণমূল বড়ো বাড়ির লড়াইয়ে আরও ঝাঁপাবে এমনটাই অভিষেকের ট্যুইট থেকে বোঝা যাচ্ছে। ত্রিপুরায় প্রধান বিরোধী হিসাবে উঠে আসায় তিনি লিখেছেন, ‘তৃণমূলের সাফল্য খুবই ব্যতিক্রমী’। প্রথমবার লড়াইয়ে ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে দল। আমবাসা পুর পরিষদে একটি আসন জিতেছে তৃণমূল। রাজনৈতিক দিক দিয়ে প্রথম না হতে পারলেও ত্রিপুরাবাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছে এমনটাই মনে করছে তৃণমূল। ফলে পুরভোট বিজেপি বাজিমাত করলেও পদ্মে কাঁটা ফুটিয়েছে তাঁরা দাবি তৃণমূলের।

ছবি সংগৃহীত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *