বোরো ধান চাষিদের সুবিধা দিতে মরা দামোদরে বাঁধ বাঁধার কাজ শুরু হল জয়পুরে
কল্যাণ অধিকারী
হাইলাইটস
❏ জলের সংকট মেটাতে মরা দামোদরে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু
❏ কয়েক হাজার হেক্টর জমির চাষে আশার আলো
❏ দেশের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি কৃষকদের জন্য সবসময় ভাবেন জানান সুকান্ত পাল
জল সংকটে থাকা বোরো ধান চাষিদের আশার পথ দেখাচ্ছে আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতি। চাষিদের বোরো ধান চাষে সুবিধা দিতে মরা দামোদরে বাঁধ নির্মাণ শুরু হল। সমস্ত কাজ সরজমিনে দেখলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল।
ব্লক কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আমতা-২ ব্লকের ঝিখিরা, জয়পুর, অমরাগড়ি, ঝামটিয়া, কাশমলি এলাকায় মুলত খালের জলেই বোরো ধান চাষ হয়ে থাকে। এলাকায় মরা দামোদর থেকে সেচের মাধ্যমে বোরো ধান চাষ করে আসছেন চাষিরা। কিন্তু এবার কি হবে চিন্তায় ছিলেন। চাষিদের সুবিধায় অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ শুরু করল আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতি। কাশমলি এলাকায় এ দিন থেকে মেশিনে করে মাটি কেটে মরা দামোদরে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল জানান, বাংলার কৃষকদের পাশে সবসময় রয়েছেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাশমলি এলাকা সহ ঝিখিরা, জয়পুর, অমরাগড়ি, ঝামটিয়া প্রভৃতি এলাকায় বোরো ধান চাষিরা জলের জন্য অপেক্ষা করছেন। এমন একটি সময়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ালো আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতি। কাশমলি এলাকায় মরা দামোদরে অস্থায়ী বাঁধ বাধার কাজ আজ থেকে শুরু হল। এতে করে কৃষকরা খালের জল পাবে। এবং বোরো ধান চাষিদের সুবিধা হবে।
সূত্রের খবর বোরো ধান চাষে জলের পরিমাণ লাগে বেশি। ধানের চারা গাছ থেকে ধান উৎপন্ন হতে প্রায় ৪৫ দিন সময় লাগে। এই সময়টাতে জলের প্রয়োজন হয় বেশি। তবে ইদানীং বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহারে জল ব্যবহার কমানো গেছে এমনটাই কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। ফলে আশার আলো দেখছে চাষিরা। কিন্তু জলের যোগান সঠিক ভাবে না মিললে ফলন ঠিকঠাক হবে না। চিন্তার মাঝে মরা দামোদরে বাঁধ বাঁধার কাজ শুরু হওয়ায় আশ্বস্ত হয়েছেন বোরো ধান চাষিরা।