চন্দ্রিমার নেতৃত্বে তৃণমূলের ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচি ও পঞ্চায়েতি সভা আমতার মানকুরে

কল্যাণ অধিকারী

আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের নয়া কর্মসূচি, ‘চলো গ্রামে যাই।’ মঙ্গলবার  আমতা বিধানসভার মানকুরে বিধায়ক ও কর্মীদের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে তৃণমূলের নয়া কর্মসূচিতে অংশ নিলেন তৃণমূলের মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে।

হাত জোড় করে গ্রামের মহিলাদের দিদি বলে সম্বোধন করে চন্দ্রিমা বলেন, ভালো আছেন তো দিদি? চন্দ্রিমার মুখে দিদি শব্দ শুনে কয়েকজন মহিলা পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম সারেন। গ্রামীণ হাওড়ার আমতা বিধানসভার মানকুর থেকে শুরু হয় এই কর্মসূচি। প্রত্যন্ত গ্রামের দুয়ারে পৌঁছে গেলেন। চন্দ্রিমার সঙ্গে ছিলেন হাওড়া জেলা গ্রামীণের তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাঁকরাইলের বিধায়িকা প্রিয়া পাল। ছিলেন বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন রাজা, আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল, উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক বিদেশ বসু। ছিলেন বহু কর্মী-সমর্থক।

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “মানুষের পাশের সর্বদা রয়েছে তৃণমূল। সুকান্ত, প্রিয়া, অরুণাভ এরা প্রত্যেকে আপনাদের জন্য কাজ করে। মানুষের পাশে সর্বদা থাকে।” এদিন দুটি কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রথমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামে যাই কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপর মানকুর গ্যারেজ এলাকায় মহিলাদের নিয়ে পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন করা হয়। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের প্রায় তিন হাজারের বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিধায়ক নেতা কর্মীরা পৌঁছে যাবেন। গ্রামের মহিলাদের কাছে সরকার মহিলাদের জন্য যে সমস্ত স্কিম রয়েছে এবং মহিলারা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তা বিষদে বোঝাবেন। তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখার উদ্যোগে মূলত এই কর্মসূচি শুরু হল মঙ্গলবার। আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *