রাজ্যে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে মাস্ক ছাড়াই পয়লায় জনপ্লাবন দীঘায়
কল্যাণ অধিকারী
বাড়ছে করোনা, ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। তিন তারিখ থেকেই কী বন্ধ হয়ে যাবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা এমন সহস্র সম্ভাবনার মধ্যেই পয়লায় দীঘায় জনপ্লাবন। লাখো পর্যটকের ভিড়ে জমজমাট বঙ্গের সৈকত শহর। হোটেল কানায়-কানায় পূর্ণ। তবে বাড়তি ভারা দিয়ে হোটেল বুক করতে হওয়ায় কিছুটা ছন্দ কেটেছে পর্যটকদের।
রাজ্যজুড়ে শীতল আবহাওয়া তার ওপর রয়েছে নতুন বছর শুরুর আবেগ। এখানেই শেষ নয়, শনিবার-রবিবার দু’দিন ছুটি সমস্ত ভিড় সৈকত শহর দীঘায়। কিন্তু মাস্ক ব্যবহারে গা ছাড়া ভাব। নিউ দীঘার সমুদ্রের পাড়ে অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। গড়িয়া থেকে এসেছেন স্কুল শিক্ষিকা অনিন্দিতা মুখার্জি। দু’দিনের ছুটি তে দীর্ঘদিন পরে দীঘায় এসেছেন তিনি। কিন্তু যে-ভাবে মানুষজন মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন তা দেখে হতবাক হয়েছেন। আমরা যদি নিজেরাই গা ছাড়া মনোভাব নিয়ে চলি কীভাবে আটকানো যাবে ওমিক্রন কে? বিপদ সবসময় ওত পেতে থাকে এটা ভুলে গেলে চলবে না। একি প্রশ্ন রেখেছেন ব্যারাকপুর থেকে আসা সুপ্রিয় সাউয়ের।
নয়ডায় একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করেন সুপ্রিয়। ওঁর কথায়, কলকাতা-দীঘা দূরত্ব পাঁচঘন্টার। ঝাঁ চকচকে রাস্তা দিয়ে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায়। ম্যাড়মেড়ে আস্তরণ পাল্টে পুরোটাই ঝকমক রূপ নিয়েছে। প্রশাসন আমূল-পরিবর্তন করেছে দীঘার। কিন্তু পর্যটকদের বাড়তি সুরক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন। ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট চেকিং হচ্ছে না হোটেলে। আধার কার্ড দেখালেই মিলে যাচ্ছে হোটেলের ঘর। বিচে পুলিশ কর্মীদের একাংশের মুখেও মাস্ক নেই। সাধারণ মানুষ দেদার ঘুরছে মাস্ক ছাড়াই। এমনটা চলতে থাকলে ভয়াবহ রূপ নিতে বেশি সময় নেবে না! এ প্রসঙ্গে কি বলছে প্রশাসন? তাঁদের যুক্তি গত দু’দিন ধরে মাইকিং করে বলা হয়েছে মাস্ক ব্যবহারের কথা। সচেতন করা হচ্ছে আগামীদিনেও চলবে প্রচার।
এমন গা ছাড়া কথাবার্তায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। হোটেল ব্যবসায়ীদের একাংশের কথায়, দীঘার ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল হাজারো মানুষ। মাস্ক ব্যবহারের কথা প্রশাসন আরও বেশি করে প্রচার করতে হবে। আংশিক লকডাউন শুরু হলে প্রভাব পড়বে দীঘায়। ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখা হচ্ছে না এমনটা ঠিক না দেখা হয় মাঝেমধ্যেই। ইতিমধ্যে বাইক ও পার্সোনাল গাড়ি নিয়ে আসা পর্যটকদের গাড়ি ওড়িশায় যেতে বাধা দিচ্ছে ওখানকার পুলিশ। বাধ্য হয়ে অনেকেই ওড়িশায় ঘুরতে যেতে না পেরে দীঘায় ফিরে আসছেন।