ঘূর্ণিঝড় দানা গ্রামীণ হাওড়ায় পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘনঘন বৈঠকে প্রশাসন
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ বৃহস্পতিবার সকালেই তৈরি হবে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে! আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যেতেই গ্রামীণ হাওড়ায় প্রস্তুতি তুঙ্গে। উলুবেড়িয়ায় নদী তীরবর্তী অঞ্চলে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে চলছে মাইকিং। আমতা-২ ব্লকে প্রশাসনিক বৈঠকে প্রশাসনিক কর্তারা। উলুবেড়িয়ায় পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
বুধবার বেলা গড়াতেই গ্রামীণ হাওড়ার আকাশে মেঘের সঞ্চার। সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। সবে বন্যার ক্ষত থেকে চাষবাস শুরু করার তোরজোড় শুরু করেছে কৃষকরা। এরিমধ্যে দানা ঘূর্ণিঝড়ে আতঙ্কিত মানুষজন। উলুবেড়িয়ায় গঙ্গা তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় মাইকিং শুরু করেছে প্রশাসন। হীরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বলা হচ্ছে, আগামী ২৪ ও ২৪ অক্টোবর দানার প্রভাব পড়তে পারে। মাটির বাড়িতে না থাকার কথাও বলা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের নদীতে মাছ ধরতে নিষেধ করা হচ্ছে। আমতা বিধানসভার রূপনারায়নের তীরবর্তী বাকসিহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা প্রতি সাইক্লোনেই প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বুধবার বিকালে গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি বিডিও সহ অন্যান্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সাইক্লোন দানা মোকাবিলায় বৈঠক করেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। নদী তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেন। যে কোনো পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকার জন্য সংকল্প নেওয়া হয়।
সুকান্ত বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় আমতা-২ ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধি ও বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করা হয়েছে। রূপনারায়নের তীরবর্তী বাকসিহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে বৈঠক করা হয়েছে। অন্যদিকে শ্যামপুর বিধানসভা ক্ষেত্রের একাধিক এলাকা পরিস্থিতি নজরে রাখছে প্রশাসন। শ্যামপুর ব্লক সূত্রে জানা গেছে, নদী তীরবর্তী এলাকার নদী বাঁধ সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা দেখছেন। যে সমস্ত মানুষজন নদীর ধারে বসবাস করেন প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে উলুবেড়িয়ায় পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।