ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি, চিন্তায় থাকছে গ্রামীণ হাওড়ার দ্বীপাঞ্চল, পাশে বিধায়ক

কল্যাণ অধিকারী

ঘূর্ণিঝড় যশ-এর মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত আমতা বিধানসভার বিস্তীর্ণ এলাকা, নজরদারিতে খোদ আমতা বিধানসভার বিধায়ক সুকান্ত পাল। ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটির মধ্যেই ভাটোরা এলাকায় নদী বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। শুক্রবার প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করলেন তিনি।

যশ-এর প্রভাব গ্রামীণ হাওড়ার উপরও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেইমতন দ্বীপাঞ্চল ভাটোরা, চিতনান সহ নদীর গায়ে অবস্থিত গ্রামগুলির বাসিন্দাদের উঁচু স্থানে নিয়ে যাবার চিন্তাভাবনা চলছে। গত বছর আমপানে বড় মাপের ক্ষতি হয়েছিল রূপনারায়ণ এবং মুণ্ডেশ্বরী দিয়ে ঘেরা ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান এবং ভাটোরায়। এলাকার মাটির ঘর ভেঙে পড়েছিল, কৃষিজ জমির ফসল নষ্ট হয়েছিল বিস্তর। আচমকা আঘাতে বাড়ি ও জীবিকা দুই হারিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন গ্রামের মানুষজন। ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে কৃষকদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল রাজ্য সরকার।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের দাপট আগামী ২৩ তারিখ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটাবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকবে। বিষয়টি নিইয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন প্রশাসন। আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে কৃষকদের ফসল আগে থেকে গুছিয়ে নেবার পরামর্শ দিতে মাইকিং শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করেছেন বিধায়ক সুকান্ত পাল। সদা সতর্ক থাকছে প্রশাসন। নিচু এলাকায় থাকা মানুষদের উঁচু এলাকায় নিয়ে যাবার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর কে প্রস্তুত রাখা হবে এমনটাই সূত্রের খবর।

এদিনের প্রশাসনিক স্তরে বৈঠকে ছিলেন বিধায়ক সুকান্ত পাল। ছিলেন আমতা-২ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৈয়দ মাজদুর রহমান, ছিলেন পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। এছাড়াও ছিলেন অন্যান্য একাধিক আধিকারিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *