বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে দামোদর, জল ঢুকলো উদয়নারায়ণপুরে, নজরদারিতে নেতা-মন্ত্রীরা
কল্যাণ অধিকারী
দামোদর নদের জল বাড়ায় বন্যার ভ্রুকুটি উদয়নারায়ণপুর, আমতায়। ইতিমধ্যে উদয়নারায়ণপুর ব্লকের কুরচি এলাকায় একাধিক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। ডিভিসির ছাড়া জল পৌঁছালে পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এলাকায়। মাটির বস্তা ফেলে জল আটকানোর চেষ্টা চলছে।
রবিবার সকাল থেকে জল বাড়ছে দামোদর নদে। আমতা-২ ব্লকের থলিয়া-বিনলা এলাকায় জল পৌঁছে গিয়েছে বাঁধের গায়ে। জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইতে থাকায় আমতা-১ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রসপুর খেয়াঘাট। হানিধাড়া গ্রামে বোল্ডার বাঁধ টপকে জল ঢুকছে কৃষিজ জমিতে। পটল, ঝিঙে, বাদাম চাষ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। কুলটিকারি এলাকায় রিং বাঁধের গায়ে জল। কোনভাবে ভেঙে গেলে একাধিক গ্রাম প্লাবিত হবার সম্ভাবনা। প্রশাসনকে সবথেকে বেশি চিন্তায় রেখেছে উদয়নারায়ণপুর। কুরচি, ঠাকুরানিচক দিয়ে একাধিক এলাকায় জল ঢুকেছে জানান বিধায়ক সমীর পাঁজা। তিনি আরও বলেন চাষের জমির বিপুল ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রবিবার বিকেলে উদয়নারায়ণপুর সংলগ্ন বকপোতা সেতু সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনে আসেন মন্ত্রী পুলক রায়। সঙ্গে ছিলেন উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা ও আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। ছিলেন সেচ দপ্তরের চিএফ এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রঘুনাথ চক্রবর্তী। তাঁরা জানান, বন্যা আসলে প্রশাসনিক ভাবে সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিচু এলাকার মানুষদের উঁচু এলাকায় সরানোর কাজ শুরু করা হচ্ছে।
রবিবার সকালে মুন্ডেশ্বরী নদীর জলের তোড়ে ভেসে যায় কুলিয়ায় বাঁশের সেতু। জেলার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। আমতা বিধানসভার বিধায়কের উদ্যোগে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ নিবিড় রাখতে প্রশাসনিক নজরদারি চালানো হচ্ছে। আমতা-১ ব্লকের মান্দারিয়া, আমতা বন্দর এলাকায় দামোদর নদ ও নদী বাঁধ পরিদর্শনে আসেন উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নির্মল মাজি। ছিলেন আমতা-১ ব্লক আধিকারিক, ছিলেন ইরিগেশন দপ্তরের আধিকারিক সহ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানরা