পঞ্জাব জিতলেও জনপ্রিয়তায় কেজরিওয়ালের থেকে এগিয়ে দিদি’ই মত তৃণমূল কর্মীদের
কল্যাণ অধিকারী
সদ্য পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা। দেশে জনপ্রিয়তার দৌড়ে কোন রাজনৈতিক নেতা এগিয়ে গেলেন। বিজেপির বিপুল সাফল্যের মাঝেও পঞ্জাব ক্ষমতা দখল করে প্রচারে চলে এসেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কংগ্রেসের বিকল্প বলেও অনেকে প্রচার শুরু করেছেন। তবে এসব কে মাথায় নিচ্ছে না তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
তৃণমূলের একাংশের কথায়, দেশে জনপ্রিয়তায় প্রধানমন্ত্রীর পরেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আম জনতার কাছে তিনি দিদি। এই পরিচয়েই দেশ-বিদেশে তিনি পরিচিত। কে একটা রাজ্যে ভালো ফল করেছে তা দেখে জনপ্রিয়তা নিয়ে হল্লাবোল করা মুর্খামি। দেশের মানুষ জানেন বছরের ৩৬৫ দিন সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন দিদি। কৃষক থেকে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, প্রত্যেকের কথা তিনি ভাবেন। কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময় নেতারা যখন ঘরে তখনো কাজ করে গেছেন দিদি। তাঁর জনপ্রিয়তা বাকিদের কাছে উদাহরণ।
তাঁদের আরও মত, দেশের একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ এখানে গো হারা হারে বিজেপি। পঞ্জাবে কংগ্রেসের অন্তঃকলহ আপ কে সুবিধা এনে দিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু কে নিয়ে কংগ্রেস বাকি নেতাদের যে কলহ তার সাফল্য কুড়িয়েছে আপ। তারজন্য আলাদা কোন ক্যারিশ্মা কাজ করেনি। চব্বিশের লোকসভা ভোট এখনো দু বছর বাকি। তার আগে গঙ্গা ও যমুনা দিয়ে বহু জল গড়াবে। এখন থেকেই জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রচার করা মূর্খামি ছাড়া আর কি এমনটাই মত তৃণমূলের একাংশের।
pic collected