পুত্র সুখ ভোগ করতে পারলাম না, ভগবান পুত্র শোক দিয়ে গেলেন: দিলীপ ঘোষ
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
সাম্পতিক দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে যোগ দিয়েছিলেন, তারপর থেকেই বিজেপি নেতাদের লাগাতার আক্রমণের শিকার হচ্ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার পর, মঙ্গলবার স্ত্রীর প্রথম পক্ষের সন্তানের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। সময়টা সাধ দিচ্ছে না বোধহয়! দিনভর ছিল মন ভারাক্রান্ত। ছলছল চোখে ছেলের গলায় মালা পরিয়ে দিলেন। হাতজোড় করে প্রণাম করলেন। ভেজা চোখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল তিনি ভেঙে পড়েছেন। সাংবাদিকদের বলেন, “দুর্ভাগ্য আমার, পুত্র-সুখ হল না, পুত্র-শোক হল।”
রাজ্য রাজনীতির পাতা ওল্টালে যিনি সবথেকে বেশি আলোচনার তিনি দিলীপ ঘোষ। মর্নিং ওয়ার্ক থেকে চায়ের ঠেক দিলীপ সর্বদা সোজাসাপটা। ৬১ বছর বয়সে, গত মাসের ১৮ তারিখ বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দিলীপ বাবু। যদিও পাত্রী রিঙ্কু মজুমদারের এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। দিলীপের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের প্রথম স্বামীর সন্তান সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত। নিউটাউনের আবাসন থেকে মঙ্গলবার সকালে সৃঞ্জয়ের সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, সৃঞ্জয় বেঁচে নেই। তারপর থেকেই শোকাহত দিলীপ। এদিন কলকাতার আকাশ রোদ ঝলমলে থাকলেও দিলীপ-রিঙ্কুর হৃদয়ে কালো মেঘের ঘনঘটা। সমানে কেঁদে চলেছেন রিঙ্কু।
বিয়ের ২৫ দিনের মাথায় এমন শোকের খবর আসার পর থেকেই বিধ্বস্ত দিলীপ। কল্পনাও করতে পারেননি এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে। এদিন সন্ধেয় সৃঞ্জয়ের দেহ এসে পৌঁছয় শ্মশানে। তখনো সমানে কেঁদে চলেছেন রিঙ্কু। স্ত্রীর পাশে থেকেছেন দিলীপ। তবে, কিছু বলার মতো অবস্থাতেই ছিলেন না। বারবার সাংবাদিকদের বুম এগিয়ে এলেও নীরব থেকে গেছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, সর্বগুণসম্পন্ন ছিলেন ছেলে। ওঁর সঙ্গে থাকার কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু সবকিছুই এলোমেলো হয়ে গেল। পুত্র-সুখ হল না, পুত্র-শোক হল! বলেছেন দিলীপ ঘোষ।