সাংসদ পদে ইস্তফা দীনেশ ত্রিবেদীর, ছাড়লেন দল, লক্ষ্য কী বিজেপি জল্পনা তুঙ্গে
কল্যাণ অধিকারী, কলকাতা
হাইলাইটস
❏ রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে বেনজির ইস্তফা দীনেশ ত্রিবেদীর
❏ দলের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করলেন
❏ একুশের ভোটে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হবার সম্ভাবনা!
১৯-এর লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে অর্জুন সিংয়ের কাছে হারেন দু’বারের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। তারপরও দলনেত্রী তাঁকে দূরে সরিয়ে দেননি। রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠিয়েছিলেন দিল্লি। সেই রাজ্যসভায় বক্তব্য দিতে উঠে ইস্তফা দিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল মনোনীত সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। ছিন্ন করলেন তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক। লক্ষ্য কী বিজেপি খোলসা করলেন না তিনি।
তৃণমূল নেত্রীর সুনজরে সর্বদা ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। ২০০৯ সালে ব্যারাকপুর থেকে জয়ী হয়ে সাংসদ হন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তনের সরকার গঠিত হবার পর মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জায়গায় রেলমন্ত্রী করা হয়েছিল সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রাক্তনি গুজরাতি পরিবারের দীনেশ ত্রিবেদী কে। রেল বাজেটে যাত্রী ভাড়া বাড়িয়ে দল নেত্রীর রোষে পড়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁকে অপসারিত করে রেলমন্ত্রী করা হয় মুকুল রায়কে। তারপরও দলের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট ছিল। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে নিজের কেন্দ্রে জিতলেও ১৯-এর ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে অর্জূন সিংয়ের কাছে হেরে যান তিনি। এরপর বছর ঘুরতেই রাজ্যসভায় তৃণমূল মনোনীত সাংসদ হন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।
শুক্রবার রাজ্যসভায় বেনজির ভাবে পদত্যাগ করেন দীনেশ বাবু। দমবন্ধ হয়ে আসছিল। দলে কাজ করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ করলেন। তিনি আরও বলেন, সকলকেই কখনও না কখনও অন্তরাত্মার ডাক শুনতে হয়। আমি আমার অন্তরের ডাক শুনেছি। দল ও সাংসদ পদ ছেড়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য মানুষের জন্য কাজ করবেন। রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করবেন। এরপরেই বিজেপি তে যোগদানের জল্পনা প্রবল হয়েছে। একুশের বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হতে পারেন তিনি। এই কারণে তড়িঘড়ি ইস্তফা মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তাঁর ইস্তফায় সামগ্রিক ক্ষতি হল এ প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় হিন্দি নিউজ চ্যানেল তৃণমূল জানিয়েছে, দীনেশ ত্রিবেদীর কিছু ক্ষোভ ছিল কিছুদিন আগে দলকে জানিয়েছিলেন। বিষয়টি আলোচনাও করা হয়। তাঁর ইস্তফার পর বৈঠকে বসতে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।