ঘেন্না!

কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ

লোকাল ট্রেনে চার নম্বর সিটে বসার অভিজ্ঞতা কমবেশি সকলের রয়েছে। আপনার পাশে বসা তিনজন ব্যক্তি চাইলেই ভালো ভাবে বসতে দিতে পারে আপনাকে। কিন্তু কেন দেবে এমনটা ভাব। লোকাল ট্রেনের কামরায় চার নম্বর সিটে বসা ব্যক্তিদের অবস্থা অত্যন্ত কষ্টদায়ক। পাশে বসা ব্যক্তিরা তো বসতেই দিতে চায় না এমনটা ভাব। নিজেকে চাপ সৃষ্টি করে জায়গা দখলে নিতে হয়।

আমাদের পেশা ওই চার নম্বর সিটের মতো। অফিস একরকম নির্দেশ দেয়। তা পালনে কালঘাম ছুটে যায়। গালি শুনবার পর্যায়ে পৌঁছাতে হয় না যে তা নয়। এই যেমন বন্ধুটি খেল। যাকে বলে কাঁচা খিস্তি। বাস বা ট্রেন লেট করলে কিছু পাবলিক এমন কাঁচা খিস্তিখেউর করে।

২০১২-১৩ সাল সময়কার চার নম্বর সিট ছিল অত্যন্ত শান দেওয়া ব্যাপার। খুরধার ভাবে কথা বলা যেত। এককথায় গদ্য-পদ্য সমান তালে চলত। কিন্তু তার বছর দুয়েক পর থেকেই সব এলোমেলো অবস্থা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় জনের কথাতেই চলতে হয় চতুর্থ ব্যক্তিকে। বসতে পারছেন না তবুও বলা যাবে না। অর্থাৎ ভুল বিষয় দেখেও কলমের দাগ টানা যায় না। নির্লজ্জতার সীমানা পেরিয়ে চলেছে অর্ধেকাংশ। বাকিরা চাটুকারিতায় সপ্তমে। শেষ দিকে যারা রয়েছে তাঁদের কথা বাদ দিলেই হয়। এই চাটুকারিতার কারণে আজ কাঁচা খিস্তি খেতে হচ্ছে আমাদের। এরপরেও কোন একদিন মুখ দেখিয়ে প্রকাশ্য সভায় ফুলের স্তবক নেবে ভামটা। আর তা লাইভ দেখাবে সেই চার নম্বর সিট!

কলমটা শান দিও বন্ধু! লিখতে হবে চোখে চোখ রেখে। হ্যাঁ এই কথাগুলো শুনেছি আগেও। কেউ কেউ বলে, মাইক ধরে না-কি চাটুকারিতা করে দাদারা! আর ভাইগুলো অভাগার দল হয়ে এঁড়েদের কাছ থেকে কাঁচা খিস্তি শোনে!

তবুও ভাল লাগল দেখে, এক কবীর ভাষাবোধ শুনে অন্য কবি কলম ধরেছেন। আক্রমণের তেজে কবীর লালারস বের করে দিয়েছেন কবি। এটাই বাঙালির প্রতিবাদ। শয়তানি করে গিটার বাজিয়ে চোখ মিটিমিটি করে গান গাওয়ার দিন শেষ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *