মাঘ মাসে অকাল দুর্গাপুজো হচ্ছে আমতার কুরিট গ্রামে, কারণটা জানলে অবাক হবেন?
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
ভরা মাঘে দুর্গা পুজোয় মেতেছেন আমতার কুরিট গ্রাম। মা দুর্গার রূপও ভিন্ন। এখানকার অকাল দুর্গাপুজোয় মা দুর্গা অষ্টাদশ ভুজা। এলাকার মানুষের দাবি, সরস্বতী পুজোর পরে এই পুজোয় শারদীয় উৎসবের মতো ষষ্ঠী সপ্তমী অষ্টমী, নবমী দশমি পালন করা হয়। এই পুজো ঘিরে বসেছে মেলা। এলাকার অন্ততপক্ষে ১০-১২টি গ্রামের মানুষদের উদ্দীপনা ও ব্যস্ততা তুঙ্গে।
আমতা থানা থেকে তিন কিমি দূরে কুরিট গ্রাম। এখানেই তারাময়ী আশ্রমে সরস্বতী পুজোর পরেরদিন থেকে শুরু হয়েছে পুজো। মূলত গ্রাম্য এলাকা ও কৃষি প্রধান মানুষের বসবাস। গ্রামবাসীদের দাবি, কৃষকদের জমির ফসল বৃষ্টি না পেয়ে মরতে বসেছিল। কীভাবে চাষবাস হবে যখন চিন্তায় ব্যস্ত তখনি এক তান্ত্রিকের কথায় বিশ্বাস করে পুজোর শুরু। ১৯৭৯ সাল থেকে শুরু হওয়া পুজো এখন বহরে বেড়েছে। পুজো উপলক্ষে মেলায় বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
বেবি দলুই, রিমি মন্ডল প্রত্যেকের কথায়, মা দুর্গার বাম পাশে থাকে কার্তিক সরস্বতী এবং ডানদিকে লক্ষ্মী, গণেশ এবং থাকে ঋষি কাত্যায়নের মূর্তি। পুজো উপলক্ষে গ্রামে উৎসবের ছবি। ভিন রাজ্যে কর্মসূত্রে থাকা ছেলেরাও এই সময় গ্রামে ফিরে আসে। পুজোর ক’টাদিন প্রতিটি বাড়িতে অতিথিদের আনাগোনা থাকে। কুরিট গ্রামের পুজো হলেও আশপাশের বড় মহড়া, ছোট মহড়া, কোটালপাড়া সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন মা’য়ের বিদায়বেলায় সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে।
আমতা থানার এক আধিকারিক বলেন, কুরিট গ্রামের অকাল দুর্গা পুজো শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয়। পুজোর ক’টাদিন মানুষের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ এবং সিভিক ভল্যান্টিয়াররা ডিউটিতে থাকেন।