ভারতের বোলিংকে ক্লাব স্তরে নামিয়ে ম্যাচ ১০ উইকেটে জিতে নিল ব্রিটিশ বাহিনী
কল্যাণ অধিকারী
পাড়ার রতন দা চা বিক্রি করেন। দত্ত বাড়ির দেয়াল ঘেঁষে চায়ের গুমটি। গতকাল থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন আজ দুপুরে দোকান বন্ধ থাকবে। কারণটাও বেশ জমিয়ে দর্শানো। ব্রিটিশ বাহিনীকে রুখতে যাচ্ছি অ্যাডিলেড। ম্যাচ হারতেই ফোন করি, ‘কি রতন দা ফিরছেন তো” হ্যাঁ ভাই সাইকেল চালিয়ে ক্লাব থেকে ফিরছি।
অ্যাডিলেডে ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে নিজেদের সপে দিয়েছে ভারত! ব্যাটাররা না হলেও বোলারদের পারফর্ম দেখে তেমনটাই অন্তত মনে হচ্ছে। ভারত কেন ম্যাচ হারলো কাটাছেঁড়া তো হবেই। কিন্তু ১০ উইকেটে হার মানা যাচ্ছে না। ১৬৯ রান টার্গেটকে সামনে রেখে যেভাবে বোলারদের ধুয়ে দিল ব্রিটিশ বাহিনী এমনটা চায়ের কাপগুলো বোধহয় ধোয় না রতন দা। এরমধ্যেই কেউ কেউ বলছে পাকিস্তানের হায় লেগেছে কোহলিদের। সে যাই হোক, ওঁদের ওপেনিং জুটিই ভারতের জয়ের স্বপ্নে ‘বৃষ্টি’ এনে দিল। এমন শুরুটা কেন যে পারলো না রাহুল-রোহিত।
লাগাতার খারাপ ফর্মে চলা রোহিত কোনক্রমে ২৭ করলেও রাহুল ফিরে যায় ৫ রান করে। দলের মাত্র ৯ রানের মাথায় উইকেট পতন সামলাতে গিয়ে দলের ৫৬ রানের মাথায় ফিরে যান রোহিত। তবে শেষ বেলায় মুখ রক্ষা করে হার্দিক। তাঁর ৩৩ বলে ৬৩ রান দলকে ১৬৮ রানে পৌঁছে দেয়। কিন্তু বোলারদের বল করার পরিবর্তে রসগোল্লা ছোঁড়া ম্যাচের সমস্ত রঙ নিজেদের দিকে টেনে নিল ব্রিটিশ বাহিনী। ইংল্যান্ডের ওপেনার বাটলার করেছেন ৪৯ বলে ৮০ রান। সঙ্গী আলেক্সের রান ৪৭ বলে ৮৬। দুই ওপেনারের দাপটেই ভারতীয় বোলারদের সব তেজ নুইয়ে দিল। ভারত হারল ১০ উইকেটে। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের দৌড় থেমে গেল।
রতনা দা আজ ম্যাচ দেখে খুবই বিষণ্ণ মনে হয়েছে। ওঁরা জিতে যা পায় বোধহয় হেরে বেশি পায় তাই হয়তো এইভাবে ম্যাচটা হারলো! রতনা দা একি বলছে কিসের ইঙ্গিত করছে..