নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভাসল জেলা বন্ধ থাকল ফেরি সার্ভিস, নজরদারিতে মন্ত্রী-বিধায়ক
কল্যাণ অধিকারী
ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ এর প্রভাব দেখা না দিলেও রবিবার দিনভর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভাসল জেলা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল সেইমতন প্রশাসনিক ভাবে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। হাওড়া পৌরসভায় খোলা হয় চারটি কন্ট্রোল রুম। কড়া নজরদারি চালান হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান চিকিৎসক সুজয় চক্রবর্তী। সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম, জানান তিনি।
নিম্নচাপ সঙ্গে দোসর অমাবস্যার ভরা কটাল। গঙ্গা ছিল উত্তাল। দুর্যোগের কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে হাওড়া-কলকাতা ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়। হাওড়া ও আর্মেনিয়াম জেটিতে লঞ্চগুলিকে জেটির সঙ্গে মোটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। রামকৃষ্ণ ঘাট পরিদর্শন করেন সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। ঘাট ও গঙ্গা পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর তিনি জানান, “হাওড়া পৌরসভা ও স্থানীয় নেতৃত্ব বৃন্দ সমস্ত এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছেন। মানুষের দেখাশোনা ও প্রয়োজনে তাঁদের অন্যত্র সরানোর কাজ করছেন তাঁরা। জল জমলে জল সরানোর ব্যবস্থায় পৌরসভা প্রস্তুত রয়েছে।” তিনি আরও জানান, “যতটা খবর আছে ভয়ের কিছু নেই কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কারো অসুবিধা না হয়।”
গ্রামীণ এলাকায় উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসকের উদ্যোগে বাগনান-২ ব্লকে প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছিলেন মহকুমাশাসক শমীক কুমার ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌসুমি সেন, বিডিও সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ছিলেন। পাশাপাশি উলুবেড়িয়া পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করা হয়। এদিন জওয়াদ আশঙ্কা ও নিম্নচাপের বৃষ্টির কারণে গাদিয়াড়া ও গেঁওখালির মধ্যে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এর পাশাপাশি আমতা-২ ব্লকের দ্বীপাঞ্চল চিতনান এলাকায় রূপনারায়ণ নদীর জলোচ্ছ্বাসে কৃষিজ জমি জলমগ্ন হয়ে যায়। ধান ও আলু চাষের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিদ্যা।
আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, “বিডিও সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিকেও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। জোয়ারের জল দ্বীপাঞ্চলের খাল দিয়ে গিয়েছে। সমস্ত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। মানুষের পাশে সর্বদা রয়েছি।”